সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। অবশেষে রবিবার চিনের (China) পূর্ব উপকূলে (East coast) আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় In-fa। গত কয়েকদিনের নজিরবিহীন প্রবল বৃষ্টিতে এমনিতেই চিনে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত ঝেংঝাউ শহরের অবস্থায় শোচনীয়। এই পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঝেঝিয়াং প্রদেশের ঝোউশান শহরে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। যদিও ঝড়ের শক্তি অনেকটাই ক্ষয় হয়ে গিয়েছে। তবুও শহরবাসীকে বাড়িতেই থাকতে আরজি জানিয়েছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ২৫০-৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তাইওয়ানে ইন-ফা ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ কিমি। তবে ঝড়ের প্রকোপে কোনও হতাহতের কথা জানা যায়নি। এদিকে ঘূর্ণিঝনের আশঙ্কায় সাংহাইয়ের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বহু উড়ান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে আগেই. সোমবারের বহু উড়ানও বাতিল হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। বন্ধ ট্রেন চলাচলও।
[আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ভয়াবহ’, নির্দেশিকা জারি করে সতর্ক করল ভারতীয় দূতাবাস]
গত কয়েকদিন ধরেই ভয়াবহ বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত চিন। সেদেশের হেনান প্রদেশ প্রায় পুরোপুরি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ওই প্রদেশের রাজধানী ঝেংঝাউ। চিনের ওই অঞ্চলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, সেপ্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদদের দাবি ১ হাজার বছরের মধ্যে এখানে এমন বৃষ্টি দেখা যায়নি। ফলে রাতারাতি সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এর মধ্যে ঝেংঝাই শহরের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। কেবল এখানেই বৃষ্টি হয়েছে ৬১৭.১ মিলিমিটার। যেখানে বছরে ৬৪০.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক ভাবেই রাতারাতি এমন বিপর্যয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ হয়ে গিয়েছে। ঘরছাড়া বহু মানুষ। বৃষ্টির প্রকোপের যে ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে তা দেকে শিউরে উঠছে নেট দুনিয়া।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইউরোপ থেকে শুরু করে ভারতের মহারাষ্ট্র- বিশ্বের সর্বত্রই এই ধরনের প্রবল বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটছে। প্রাথমিক ভাবে জলবা।উর পরিবর্তনকেই এর কারণ হিসেবে ধরছেন পরিবেশবিদরা।