সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩০ আগস্ট, ২০২১। কাবুল বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা প্লেনে চড়ে বসেন আফগানিস্তানে (Afghanistan) মার্কিন ফৌজের শেষ সৈনিক ক্রিস্টোফার ডনাহিউ। তারপরই প্রায় দুই দশকের লড়াইয়ে ইতি টেনে পাহাড়ি দেশটির বুক থেকে শেষবারের মতো ডানা মেলে বিমানটি। এবার ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের আবহে পোল্যন্ডে ডনাহিউর নেতৃত্বেই নামল মার্কিন ফৌজের একটি বাহিনী।
[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর নিয়ে একতরফা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি’, ইমরানের সঙ্গে বৈঠকের পর বলল চিন]
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সূত্রে খবর, রবিবার দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডে পৌঁছয় মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি দল ও যুদ্ধের সরঞ্জাম। ওই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন কমান্ডার ক্রিস্টোফার ডনাহিউ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মার্কিন ফৌজের ’82nd Airborne Division’-এর কয়েকশো সৈনিক পোল্যান্ডের রেসজও-জাসিওনকা বিমানবন্দরে পৌঁছবে। বলে রাখা ভাল, উক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ৫৬ মাইল দূরে অবস্থিত এই বিমানবন্দর। ফলে পরিস্থিতি তেমন দাঁড়ালে রুশ বাহিনীকে রুখতে দ্রুত সীমান্তে পৌঁছে যাবে মার্কিন সেনা। এই বিষয়ে এয়ারপোর্টে ডনাহিউ বলেন, “ইউরোপ সমস্ত মিত্র দেশের পাশে আছি আমরা। পোল্যান্ডে আমাদের আগমন সেই প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরছে।”
সম্প্রতি পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত ৩ হাজার সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করে পেন্টাগন। এর ফলে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সংঘাত নতুন মাত্র লাভ করল বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের। পেন্টাগন জানায়, দু’চার দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের পড়শি দেশ পোল্যান্ডে ১ হাজার ৭০০ সেনা পাঠানো হবে। আমেরিকা থেকে ৩০০ জওয়ানের একটি সেনাদল যাবে জার্মানিতে। আবার জার্মানিতে মোতায়েন থাকা ১ হাজার মার্কিন সেনাকে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি জানিয়েছেন, পোল্যান্ড, জার্মানি ও রোমানিয়ায় সঙ্গে থাকা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত মেনেই কিছু সময়ের জন্য অতিরিক্ত ফৌজ পাঠানো হচ্ছে। তবে এই বাহিনীর রাশ থাকবে আমেরিকার হতেই।
উল্লেখ্য, যুদ্ধের আতঙ্কে কাঁটা ইউরোপবাসী। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল সমরাস্ত্র এবং হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। এমনকী, বেলারুশ, ক্রিমিয়া এবং পশ্চিম রাশিয়ায় মোতায়েন হয়েছে বিপুল সংখ্যক সেনা। পাঠানো হয়েছে গোলা-বারুদ, কামান। ট্রেনে করে সীমান্তে পৌঁছে যাচ্ছে যুদ্ধের রসদ। উপগ্রহচিত্র বলছে, বেলারুশের প্রশিক্ষণ শিবিরে ঘাঁটি গেড়েছে রুশ সেনা। জোরকদমে চলছে প্রশিক্ষণ। এমনকী, হাতেকলমে শেখানো হচ্ছে কামান দাগা। যা দেখে মনে হতেই পারে বড়সড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পুতিনের সেনা। বেলারুশে ব্যালেস্টিক মিসাইল মোতেয়ন করা হয়েছে।