সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাভালনি বিষ কাণ্ডে প্রবল চাপে পুতিন প্রশাসন। বিরোধী নেতার উপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: ‘চিন নয়, ভারতের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক চায় কাঠমান্ডু’, বার্তা নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর]
মঙ্গলবার মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, রুশ বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করে হত্যার চেষ্টার জন্য রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন সূত্রে খবর, ৭ জন শীর্ষ রুশ আমলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি ‘ফ্রিজ’ করা হবে। এছাড়া, রুশ জৈবিক ও রাসায়নিক হাতিয়ার তৈরির প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ১৩টি সংস্থার উপরও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়েছে। এক শীর্ষ মার্কিন আমলার মতে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেননি। কিন্তু হোয়াইট হাউসে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি পালটেছে। পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ সুস্থ হয়ে বার্লিন থেকে মস্কো ফিরতেই গ্রেপ্তার করা হয় নাভালনিকে। গত বছর তাঁকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রের জন্য তিনি পুতিনকে দায়ী করেছিলেন। ক্রেমলিন এমন দাবিকে পত্রপাঠ উড়িয়ে দিয়েছিল। পরে গ্রেপ্তারির ভয়কে অগ্রাহ্য করেই তিনি মস্কোতে ফিরে আসেন। এরপরই তাঁকে জেলবন্দি করা হয়। তারপর থেকেই তাঁর মুক্তির দাবিতে শুরু হয়েছে আন্দোলন।
উল্লেখ্য, আগস্টের ২০ তারিখ সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে বিমানে মস্কো ফিরছিলেন নাভালনি ( Alexei Navalny)। মাঝ আকাশে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। উপায় না দেখে ওমস্ক শহরে বিমানের জরুরি অবতরণ করিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। নাভালনি ঘনিষ্ঠদের প্রাথমিক ধারণা, টমস্ক বিমানবন্দরে তাঁর চায়ে বিষ মেশানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, নাভালনির স্নায়ুতন্ত্র ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল। কোমায় আচ্ছন্ন হন তিনি। সেটা বিষের প্রভাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল। এরপর নাভালনির শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকায় জার্মানির বার্লিনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষার পর বিষ প্রয়োগের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। তারপর সুইডেন ও ফ্রান্সের গবেষণাগারও সাফ জানায়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর বিরোধী নাভালনির উপর সোভিয়েত জমানার ভয়াবহ নার্ভ এজেন্ট নভিচক প্রয়োগ করা হয়েছিল।