সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭০ বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে কোনও মহিলাকে। তাঁর অপরাধের কথা শুনে শিউড়ে উঠেছেন বিচারকরাও। এমনই নৃশংস অপরাধ করেছিলেন কনসাসের মহিলা লিসা মন্টেগোমারি।
২০০৪ সালে লিসা নিজেকে অন্ত্বঃসত্তা বলে দাবি করেন। যদিও তাঁর বন্ধ্যাত্বকরণ করানো ছিল আগেই। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর ববি জো স্টিনেন্তের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তখন তাঁর বয়স ২৩ বছর। সেই সময় কুকুর কিনতে চেয়ে অনলাইনে বিজ্ঞপন দিয়েছিলেন আট মাসের অন্ত্বঃসত্তা ববি। সেই বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে ববির বাড়িতে যায় লিসা। বাড়িতে ঢুকে শ্বাসরোধ করে বিবকে খুন করে। এরপর পেট চিড়ে গর্ভস্থ শিশুকে নিয়ে চম্পট দেয়। পরিবারের কাছে তাকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ফেডারেল আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরে ইন্ডিয়ানাতে লিসার শরীরে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে তার মৃত্যু কার্যকর করবে মার্কিন প্রশাসন।
[আরও পড়ুন : জনবিক্ষোভে উত্তাল থাইল্যান্ড, চারটি সংবাদ সংস্থা বন্ধ করল প্রশাসন]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার বলেছেন, “লিসা যে অপরাধ করেছে তা পৈশাচিক। যে কোনও সুস্থ মানুষ শিউরে উঠবে।” তবে তার আইনজীবী লিসাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁর যুক্তি. ছেলেবেলায় মায়ের প্ররোচনায় ধর্ষণের শিকার হয় লিসা। তাই তাঁর শাস্তি কমানো হোক। তাঁর আবেদন যদিও ধোপে টেকেনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালে মার্কিন মুলুকে শেষবার কোনও মহিলার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। সেবার বনি হেডি নামেএক মহিলাকে এক শিশু খুনের অভিযোগে গ্যাস চেম্বারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ডে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পরে তা তুলে নিলেও জাতীয় স্তরে মৃত্যুদণ্ড বন্ধই ছিল। ২০১৮ সালে ট্রাম্প সরকার ফের তা চালু করে। এরপর এই প্রথম কোনও মহিলাকে মৃত্যদণ্ড দেওয়া হবে।