সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই প্রথম মহাকাশচারী হিসেবে প্রশিক্ষণ নেবেন আরবের (Arab) কোনও মহিলা। এই খবর প্রকাশের পরে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) মহাকাশযান। সেই ইতিহাস রচনার পরে এবার ২৭ বছরের নোরা আল মাত্রুশিকে নাসার মহাকাশচারী (astronaut) প্রশিক্ষণ কোর্সে পাঠানোর মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার, আরব দেশ এবার মহাকাশে আমেরিকা, চিন কিংবা রাশিয়াকে টেক্কা দিতে দ্রুত অগ্রসর হতে চাইছে।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক নোরা এই মুহূর্তে আবু ধাবির ‘ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কনস্ট্রাকশন কোম্পানি’তে কর্মরত। এবার নাসার ওই কোর্সে যোগ দেবেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই প্রশিক্ষণ নেবেন সেদেশের এক পুরুষ মহাকাশচারীও। তাঁর নাম মহম্মদ আল-মুল্লা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথম আরব মহাকাশচারী হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যোগ দেন হাজা-আল-মনসৌরি।
[আরও পড়ুন: এলিয়েনরা বন্ধুসুলভ নাকি ভয়ংকর? নয়া ধারণা দিলেন কল্পবিজ্ঞানের বিখ্যাত লেখক]
দ্রুত মহাকাশ অভিযানে নিজেদের জায়গা পোক্ত করতে শুরু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। গত ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে পড়ে আরব মহাকাশযান। এটাই পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে কোনও আরব দেশের প্রথম মহাকাশ অভিযান। আর প্রথম অভিযানেই এমন সাফল্যে তৈরি হয় ইতিহাস। সাত মাস ধরে ৩০ কোটি মাইল পথ পাড়ি দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্যে সফল হয়েছে মহাকাশযান ‘আমাল’।
আপাতত ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে পাড়ি দেওয়াই লক্ষ্য তাদের। সেই সঙ্গে ২১১৭ সালের মধ্যে মঙ্গলে ঘাঁটিও গড়তে চায় তারা। সেই লক্ষ্যেই ধাপে ধাপে এগনোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মহাকাশে আমেরিকা ও রাশিয়াই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে এরই পাশাপাশি চিন কিংবা ভারতও দ্রুত হয়ে উঠেছে কৃতিত্বের দাবিদার। সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।