shono
Advertisement

ছত্রপতিকে অপমান করেছেন রাজ্যপাল, ‘তবু মুখে কুলুপ বিজেপির’, ক্ষোভপ্রকাশ শিবাজী বংশধরের

নীতীন গড়কড়ির সঙ্গে শিবাজীর তুলনা টানেন মহারাষ্টের রাজ্যপাল।
Posted: 01:46 PM Dec 04, 2022Updated: 02:00 PM Dec 04, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত মন্তব্য করা অভ্যাসে পরিণত করেছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল (Maharashtra Governor) ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি (Bhagat Singh Koshyari)। এর জন্য মাস তিনেক আগে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল তাঁকে। এরপর সম্প্রতি শিবাজীকে (Chhatrapati Shivaji Maharaj) নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করেন। তার কথায়, “প্রাচীন যুগের আইকনিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন ছত্রপতি শিবাজি।” এমনকী নীতীন গড়কড়ির সঙ্গে শিবাজীর তুলনা টানেন। এভাবে শিবাজীকে অপমানের পরেও রাজ্যপাল মন্তব্যের বিষয়ে চুপ বিজেপি (BJP), শনিবার নিজের দলের বিরুদ্ধে অভিযোগই আনলেন গেরুয়া সাংসদ তথা শিবাজীর বংশধর উদয়নরাজে ভোসলে (Udayanraje Bhosale)।

Advertisement

গত নভেম্বরে অওরঙ্গাবাদে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বরেণ্য মরাঠা ব্যক্তিত্বদের উদাহরণ দিতে গিয়ে কোশিয়ারি বলেছিলেন, “মহারাষ্ট্রে আইকনিক চরিত্রের অভাব নেই। প্রাচীন যুগে ছিলেন ছত্রপতি শিবাজি। পরবর্তী সময়ে ভিমরাও অম্বেডকর (BR Ambedkar)। বর্তমান সময়ে নীতীন গড়কড়ি।’’ সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর শিব সেনা বিধায়ক সঞ্জয় গায়কোয়াড় রাজ্যপাল কোশিয়ারির অপসারণ দাবি করেছিলেন। সঞ্জয়ের অভিযোগ, “অম্বেডকর এবং নীতীনের সঙ্গে এক আসনে বসিয়ে মরাঠা জাতির আরাধ্য শিবাজি মহারাজের অবমাননা করছেন রাজ্যপাল।”

[আরও পড়ুন: বিজেপি বিধায়করাই খরচ করেননি তহবিলের টাকা, গুজরাটে নয়া অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির]

যদিও শিবাজীর বংশধর উদয়নরাজে ভোসলে আরও বড়সড় প্রতিবাদ চাইছেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। শনিবার রাজগড়ের একটি সভায় তিনি বলেন, “যাঁরা চুপ করে আছেন তাঁরাও শিবাজীকে অপমান করছেন।” নিজের বক্তব্যে সরাসরি রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন ভোসলে। বলেন, “রাজ্যপাল কোশিয়ারি বড় ব্যক্তিত্ব নন। যদিও রাজ্যপাল পদটি বিশেষ সম্মান বহন করে। শিবাজীকে অপমান সহ্য করব না আমি।” ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি অপসারণ চেয়ে আজাদ ময়দানে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছেন উদয়নরাজে ভোসলে।

[আরও পড়ুন: বৈঠকে যোগ দিতে দেশে জি২০ প্রতিনিধিরা, ডালবাটি চুড়মা থেকে যোধপুরি পোলাও, আয়োজন রকমারি]

এর আগে গত অগস্ট মাসে রাজ্যপাল কোশিয়ারি মন্তব্য করেন, মুম্বই আর দেশের বাণিজ্য নগরী থাকবে না, যদি গুজরাটি এবং রাজস্থানিরা শহর ছেড়ে চলে যান। যার পর তুমুল বিতর্ক শুরু হয় গোটা রাজ্যে। অস্বস্তিতে পড়ে গেরুয়া শিবির। পরে অবশ্য নিজের মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। এবার শিবাজী বিতর্ক কত দূরে গড়ায় সেটাই এখন দেখার। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement