সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শেই সায় দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এখনই পদত্যাগ করতে হচ্ছে না মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিককে। মহারাষ্ট্রের জোট সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মন্ত্রী নবাবকে (Nawab Malik) ইস্তফার জন্য চাপ দেওয়া হবে না। তিনি ইস্তফা দিলে তা গ্রহণও করা হবে না।
গতকাল নবাব মালিকের গ্রপ্তারির পরই এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারকে ফোন করে। সূত্রের খবর, ফোনে নবাবের গ্রেপ্তারি এবং ইডির অতিসক্রিয়তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সবরকমভাবে পওয়ারের পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল নেত্রী এনসিপি (NCP) সুপ্রিমোকে বলেছেন, “কোনও কিছু হলেই এরা ইডি লেলিয়ে দিচ্ছে। এতদিন আমাদের এসব ফেস করতে হয়েছে। এবার আপনাদেরও ফেস করতে হবে।” মমতা এদিন পওয়ারকে (Sharadh Pawar) বলেন, সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এর প্রতিবাদ করতে হবে। একই সঙ্গে অনুরোধ করেছেন নবাব মালিককে যেন মন্ত্রীপদ থেকে না সরানো হয়।
[আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি মানতেই হবে, হিজাব বিতর্কে সাফ কথা কর্ণাটক হাই কোর্টের]
মমতার সেই অনুরোধের পরই গতকাল দফায় দফায় বৈঠক করেছে মহারাষ্ট্র সরকারের তিন শরিক দল। আলাদা করে পওয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নবাব মালিককে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা হবে না। মহারাষ্ট্রের আরেক মন্ত্রী তথা এনসিপি (NCP) নেতা ছগন বুজবল বুধবার বলেন, নবাব মালিককে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ করব। সরকারের তিন শরিকই ঠিক করেছে, বিজেপির এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়বে মহা বিকাশ আগাড়ি।
[আরও পড়ুন: প্রদেশ সভাপতির নির্দেশ অমান্য করে ত্রিপুরায় আদি বিজেপির মিছিল, উপস্থিত ২ মন্ত্রীও]
প্রসঙ্গত, বুধবারই দাউদ যোগের অভিযোগে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিককে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার দুপুরে দাউদ যোগ তথা অর্থপাচারের অভিযোগে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও, বিরোধীদের সাফ কথা, মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীকে ফাঁসানো হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাড়ির জোট সরকারকে চাপে রাখতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে এভাবে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি (BJP)। দিন কয়েক আগে শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সার্বিকভাবে বিরোধী জোটের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।