গোবিন্দ রায়: বাম আমলেই কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসেছিলেন ‘অযোগ্য’ মানিক ভট্টাচার্য। হলফনামা দিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জানাল ইউজিসি (UGC)। অধ্যক্ষদের বেআইনি নিয়োগ-সহ নানা অভিযোগে দায়ের মামলায় হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই হলফনামায় বাম আমলের ‘সিঁধেল চুরি’র পর্দাফাঁস হল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দানিশ ফারুকির দায়ের করা মামলায় এদিন হলফনামা দেয় ইউজিসি। তাতেই জানানো হয়েছে, ১৯৯৮ সালে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ বেআইনি ছিল। অধ্যক্ষ পদে বসার মতো কোনও যোগ্যতা ছিল না তাঁর। ছুটির পরে মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, কোনও কলেজের অধ্যক্ষ হতে কিছু যোগ্যতা থাকা বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে স্নাতকস্তরে কমপক্ষে ৫৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া। পিএইচডি বা সমগোত্রীয় যোগ্যতা থাকা। পাশাপাশি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ১৫ বছর পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকা। মানিক ভট্টাচার্যের এ ধরনের কোনও যোগ্যতা ছিল না বলে দাবি করা হয়েছে হলফনামায়। এর পরও কীভাবে তিনি চাকরি পেলেন, তা এখনও রহস্য।
[আরও পড়ুন: ‘জীবিত ফিরবে না পণবন্দিরা’, হামাসের হুমকির পরই গাজায় আগুন ঝরাল ইজরায়েল]
রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ ইউজিসির এই হলফনামা বামেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হতে নতুন হাতিয়ার দিল তৃণমূলকে। বামেরা বরাবর অভিযোগ করেছে, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে যত দুর্নীতি হয়েছে, সব ঘটেছে তৃণমূল আমলে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো। কারণ, কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্যের বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বাম আমলে। অর্থাৎ দুর্নীতির তদন্তে করতে হলে গত ১০ বছর নয়, তদন্ত শুরু হওয়া উচিৎ অন্তত আড়াই দশক আগে থেকে। এমনটাই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে য়ুক্ত থাকার অভিযোগ গত বছর ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বর্তমানে তিনি জেলেই রয়েছেন।