দীপালি সেন: ইউজিসির অ্যান্টি র্যাগিং গাইডলাইনের ৯টি বিধি মানা হয়নি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কেন? সেই সম্পর্কে ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জবাব তলব করেছে ইউজিসি। আগামীতে এই নিয়মগুলি মানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা কী, কবে এবং কীভাবে কার্যকর করা হবে, তাও জানাতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। র্যাগিং প্রতিরোধের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইউজিসি বেশ কিছু সুপারিশও করেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় শুরু থেকেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং-প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা। সেই ঘটনাতেই চলতি মাসের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে গিয়েছিল ইউজিসির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেই পরিদর্শনের ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্ট কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠিয়েছে ইউজিসি। তাতেই উল্লেখ রয়েছে, কোন কোন বিধি মানা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
[আরও পড়ুন: তদন্ত ফল শূন্য! লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় ইডি-সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারপতি সিনহার]
এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাহু বলেন, “যে যে ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি, সেগুলো যাতে কার্যকর করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন ওরা। তার রিপোর্ট পাঠাতে বলেছেন। ওনারা ১৫ দিন সময় দিয়েছেন।” তবে, নিয়ম কার্যকরের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন বুদ্ধদেববাবু। বলেন, “নানা ধরনের ঝামেলা হচ্ছে। কিছুতেই একটা মতে পৌঁছানো যাচ্ছে না। আমরা এতদিনে অনেকটাই এগিয়ে যেতাম। সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, প্রাক্তন সেনাকর্মী বা দক্ষ নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ নিয়ে বিরোধিতা করা হচ্ছে। সিসিটিভিতে বাধা কেন? দক্ষ নিরাপত্তারক্ষীতে কেন ভয় পাবে ছাত্ররা? ভয় তারাই পায়, যারা ভয় পাওয়ার মতো কাজ করে।”
বুদ্ধদেববাবু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠকে পেশ করা হবে ইউজিসির রিপোর্টটি। কিন্তু, কেন বৈঠকের অ্যাজেন্ডায় আগে থেকে বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। সূত্রের খবর, এ নিয়ে আলোচনা করতে উপাচার্যকে রাজভবনে ডেকেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল।