সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ গবেষণার পর করোনা ভ্যাকসিন তৈরিতে সাফল্য পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এরপর টিকাকরণ অভিযানের মধ্যে দিয়েই ধীরে ধীরে লাগাম টানা গিয়েছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে। কিন্তু আরও শক্তিশালী রূপে ওমিক্রন হিসেবে ফিরে আসে করোনার নয়া স্ট্রেন। যার বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াই শুরু হয়। এবার এই স্ট্রেনকে রুখে দেওয়ার ভ্যাকসিন বাজারে এনে নজির গড়ল মোডার্না। আর এই সংস্থার ওমিক্রন ভ্যাকসিনটির ব্যবহারে প্রথম স্বীকৃতি দিল ব্রিটেন।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর দারুণ কার্যকর এই মোডার্নার নয়া টিকা (Omicron Vaccine)। সবদিক বিবেচনা করে তাই ব্রিটেনের মেডিসিন রেগুলেটর (MHRA) এই টিকাকে বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে। অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্করা ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজের পর এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এই টিকার ক্রিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি ওমিক্রন BA.1 ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম। এই ভ্যাকসিন শরীরে বিপুল পরিমাণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট BA.4 ও BA.5-এর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম মোডার্নার এই টিকা।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে ‘উধাও’ রাজনীতির রং, সিপিএমের কার্যালয়ে তেরঙ্গা উত্তোলন TMC বিধায়কের]
ভারতে সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও এ দেশে ওমিক্রনের (Omicron) একাধিক ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে ইতিমধ্যেই। তাহলে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কী পদক্ষেপ করবে ভারত? সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা কিন্তু বলে দিচ্ছে, তাঁদের সংস্থাও ওমিক্রন ভ্যাকসিনের উপর গবেষণা চালাচ্ছে। নভোভ্যাক্সকে এর হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগানো হতে পারে। ওমিক্রনের BA5 সাব-ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে যাতে লড়তে পারে, সেভাবেই তৈরি হবে ভ্যাকসিনটি। তিনি আরও জানান, আগামী মাস ছয়েকের মধ্যেই তৈরি হয়ে যেতে পারে এই টিকা। এটিকেও বুস্টার হিসেবে ব্যবহারের চিন্তাভাবনা রয়েছে।
এদিকে, স্বাধীনতা দিবসেই সুখবর দিল ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেক। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি ইনট্রানাসাল কোভিড-১৯ (COVID-19) ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্বের ক্রিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়েছে। এই ভ্য়াকসিনটি নাকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করবে। এটিও বুস্টার ডোজ হিসেবে বাজারে আনা হতে পারে বলে খবর।