সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কিং অফ গুড টাইমস’এর সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না। শুধু ভারত নয়। এবার লন্ডন থেকেও বিতাড়িত হওয়ার পথে লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া। সুইস ব্যাংক (Swiss Bank) ইউবিএসের মোটা অঙ্কের ঋণ না মেটানোয় মালিয়ার লন্ডনের বাড়ি ফাঁকা করার নির্দেশ দিল সেদেশের আদালত। ইউবিএস (UBS) চাইলেই এবার মালিয়াকে সপরিবারে বিতাড়িত করে লন্ডনের ওই অভিজাত বাড়িটি দখল করতে পারে। ভারত থেকে পালানোর পর নিজের ছেলে সিদ্ধার্থ এবং ৯৫ বছর বয়সি মাকে নিয়ে লন্ডনের ওই বাড়িটিতেই থাকছিলেন মালিয়া।
লন্ডনের রিজেন্ট পার্কের কর্ণওয়েল টেরেজ অ্যাপার্টমেন্টের এই বাড়িটি বন্ধক রেখে ২০১২ সালে সুইস ব্যাংক ইউবিএসের কাছ থেকে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা বন্ধক নিয়েছিলেন মালিয়া (Vijay Mallya)। মোট ৫ বছরের বন্ধকী সেই ঋণ শোধ করার মেয়াদ শেষ হয়েছে সেই ২০১৭ সালেই। মেয়াদ শেষের পরও পুরো ঋণ শোধ করতে পারেননি মালিয়া। তবে, ইউবিএস তাঁকে অতিরিক্ত সময় দিয়েছিল ধাপে ধাপে ঋণ শোধ করার জন্য। কিন্তু ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে আর কোনও কিস্তি দিতে পারেননি একসময়ের লিকার ব্যারন।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় 5G চালু হলে বিপর্যস্ত হতে পারে বিমান পরিষেবা! হুঁশিয়ারি উড়ান সংস্থাগুলির]
তখনই ঋণের টাকা না পাওয়ায় বাড়িটি দখল করতে চেয়েছিল ইউবিএস। কিন্তু কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতির জন্য মালিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে মালিয়ার আইনজীবী ঋণের মেয়াদ আরও বাড়ানোর দাবিতে লন্ডনের আদালতে আবেদন করেন। মঙ্গলবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে লন্ডনের আদালত। বাড়িটি দখল করতে ইউবিএসকে ছাড়পত্র দিয়েছেন বিচারক। শুধু তাই নয়, লন্ডন আদালতের বিচারক জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নতুন করে আবেদনও করতে পারবেন না মালিয়া। সব মিলিয়ে লিকার ব্যারন এখন বেশ ভালমতোই বিপাকে পড়েছেন।
[আরও পড়ুন: অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির ধাক্কায় বেসামাল টোঙ্গা, বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রটির]
উল্লেখ্য, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া-সহ (SBI) একাধিক ভারতীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ব্রিটেনে গা ঢাকা দিয়েছেন কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্ণধার। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই তাঁকে দেশে প্রত্যার্পণের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আইনি মারপ্যাঁচে শেষ পর্যন্ত তাঁকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি। তবে, মালিয়া যে শুধু দেশীয় ব্যাংককে প্রতারণা করেছে তাই নয়, বিদেশের ব্যাংকগুলিকেও ছাড় দেননি তিনি।