সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কালে অফিসের মধ্যেই সহকর্মীকে গভীর চুম্বন। পরস্পরকে আলিঙ্গন করে চুমুর সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হতেই বিপাকে পড়লেন ব্রিটেনের (UK) স্বাস্থ্যসচিব। বিতর্কের আগুনে যাতে ঘি না পড়ে, তার জন্য নিজেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ম্যাট হ্যানকক। ব্রিটিশভূমের এই ঘটনাই এখন চর্চার শিরোনামে।
বিষয়টি প্রথমে সামনে আসে ইংল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমের হাত ধরে। অফিসের ভিতর এক মহিলার সঙ্গে হ্যানককের অন্তরঙ্গ হওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আনে তারা। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, স্বাস্থ্যসচিব হ্যানকক বিবাহিত। তাঁর নিজের বিভাগের আয়করদাতাদের ব্যয় এবং অন্যান্য পারফরম্যান্সের দিকে নজর রাখার জন্যই ওই মহিলাকে নিযুক্ত করেছিলেন তিনি। সেই মহিলার সঙ্গেই শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন হ্যানকক। যে ছবিগুলি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে, তা আসলে গত মে মাসের ছবি। সেই সময় ব্রিটেনে জারি ছিল কড়া কোভিডবিধি। পরিষ্কার নির্দেশিকা দেওয়া ছিল যে, বাড়ির বাইরে কোনও জায়গাতেই ঘনিষ্ঠ হওয়া যাবে না। সংক্রমণ ঠেকাতে বজার রাখতে হবে শারীরিক দূরত্ব।
[আরও পড়ুন: খাবারের বিলের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অঙ্কের টিপস! ক্রেতার মহানুভবতায় আপ্লুত মালিক-কর্মী]
কিন্তু একেবারে স্বাস্থ্যদপ্তরের অন্দরেই গলদ! যিনি কিনা দেশবাসীকে দূরত্ববিধির পাঠ দিচ্ছেন, তিনিই কোভিডের নিয়ম ভেঙে অফিসেরই মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই যে এনিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠতে চলেছে, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ছবি সামনে আসার পরই তা ভালই বুঝতে পেরেছিলেন বছর বিয়াল্লিশের হ্যানকক। শুধু তাই নয়, বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে অফিস কর্মীর সম্পর্ক নিয়েও কম জলঘোলা হবে না। সবদিক ভেবেই তাই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শনিবারই পদত্যাগপত্র জমা দেন হ্যানকক। তা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)।
প্রধানমন্ত্রী জানান, পরিবারকে এমন অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়ায় চিঠিতে ক্ষমা চেয়েছেন হ্যানকক। নিজের কাণ্ডের জন্য তিনি দুঃখিত। তবে গোটা ঘটনায় হ্যানককের পাশেই দাঁড়িয়েছেন বরিস জনসন। স্বাস্থ্যসচিব হিসেবে তাঁর কাজের প্রশংসাও করেছেন।