সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্লাসগোয় COP26 জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মোদির। তিনি দেখা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Boris Johnson) সঙ্গেও। তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদি। বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন বরিস জনসন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি ভারতে আসছেন।
কবে ভারত সফরে আসবেন জনসন? শ্রিংলা জানাচ্ছেন, মোদির আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বরিস জনসন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খানিক শুধরালেই তিনি এদেশে আসার পরিকল্পনা করবেন। প্রসঙ্গত, এবছরের শুরুতেই ভারতে আসার কথা ছিল জনসনের। সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির জেরে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। সেই সময়ে ভারতে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ব্রিটেনে দাপাচ্ছিল কোভিড-১৯।
[আরও পড়ুন: রোমের G-20 সম্মেলন থেকে উধাও ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট বলসোনারো! খোঁজ করতে গিয়ে আক্রান্ত সাংবাদিক]
পরে ঠিক হয়, এপ্রিলে ভারতে আসবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ওই সময় থেকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল ভারতে। পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে বাতিল হয় সেই সফরও। প্রথমে ঠিক হয়েছিল সফর কাটছাঁট হবে। পরে তা পুরোপুরি বাতিল করে দেয় ব্রিটেন প্রশাসন।
এদিকে করোনা টিকা কোভিশিল্ডকে মান্যতা দিতে না চাওয়ায় ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছিল সম্প্রতি। ব্রিটেনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ভারত থেকে সেদেশে যাওয়া যে ব্যক্তিরা কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছেন, তাঁদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: সমাজের ‘লক্ষ্মী’রা কি প্রকৃত সম্মান পায়? প্রশ্ন নিয়ে আসছে শ্রীলেখা, প্রিয়াঙ্কা, গৌরবের ‘নির্ভয়া’]
তবে গ্লাসগোয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে হাসিমুখেই দেখা গিয়েছে। এমনকী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেভাবে মোদিকে মঞ্চে ডেকে চমক দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, তাও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই পরিস্থিতিতে মোদির আমন্ত্রণে জনসনের সাড়া দেওয়া থেকে নতুন করে সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিতই মিলছে।
এদিকে, গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন, জলবায়ুর উপর বড় প্রভাব ফেলছে মানুষের জীবনযাপন। সেখানেই বদল প্রয়োজন। আর তাই লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্টের (LIFE) শপথ নেন তিনি। অর্থাৎ জলবায়ুর উন্নতির জন্য জীবনযাপনে বদল আনতে পাঁচ অমৃত তত্ত্বের সন্ধান দেন মোদি।