সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে দেড় মাস পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War)। যুদ্ধের শুরুতে ন্যাটো সামরিক জোটের দেশগুলি কিংবা আমেরিকা, পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে (President Zelenskyy)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই সেনা পাঠায়নি। এই পরিস্থিতিতে একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই খোদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হাজির হলেন সেদেশে। যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভের পথে তাঁকে হাঁটতে দেখা গেল জেলেনস্কির সঙ্গে।
জেলেনস্কির সঙ্গে বরিসের সাক্ষাতের পরে ব্রিটেনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, ”প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির নেতৃত্ব ও সাহসী পদক্ষেপের কারণেই ইউক্রেনীয়রা পুতিনের শয়তানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।” পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, বরিস জনসন ১২০টি সাঁজোয়া গাঁড়ি ও নতুন ধরনের জাহাজ-ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও ব্রিটেন অস্ত্র সাহায্য করেছে কিয়েভকে। জনসন ইউক্রেনকে অর্থসাহায্য়ের আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: রেখার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ইমরানের! আজও রহস্যে মোড়া সেই সম্পর্ক]
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে প্রবেশ করে রুশ ফৌজ। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে ভয়ংকর লড়াই। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, হয়তো সহজেই পুতিন বাহিনী দখল করে নেবে কিয়েভ। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে তত প্রতিরোধ মজবুত করেছে ইউক্রেন। এখনও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগে রুশ বর্বরতার ভিডিও দেখিয়ে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে রাশিয়াকে (Russia) বহিষ্কারের দাবি তোলেন জেলেনস্কি। যাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপে বাধা দিতে না পারে নিরাপত্তা পরিষদের এই স্থায়ী সদস্য দেশটি। এরপরই তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন। না পারলে সবাই মিলে ইস্তফা দিয়ে রাষ্ট্রসংঘ ভেঙে দিন।