সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পার্টিগেট’ কেলঙ্কারিতে জড়িয়ে নাজেহাল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। লকডাউন চলাকালীন নিজের বাড়িতে বসে ওয়াইন পার্টি করে জনবিক্ষোভেরর মুখে পড়েছেন তিনি। সেই ঘটনায় তদন্তের পর সোমবার ডাউনিং স্ট্রিটে রিপোর্ট জমা দেন বর্ষীয়ান আমলা স্যু গ্রে। তারপরই পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন জনসন। কিন্তু তাঁর ইস্তফার দাবিতে অনড় বিরোধীরা।
[আরও পড়ুন: ‘ভয়াবহ ফল ভুগতে হবে’, ইউক্রেন নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রাশিয়াকে হুমকি বাইডেনের]
জানা গিয়েছে, রিপোর্টে বরিস জনসন সরকারের ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা’র কড়া সমালোচনা করেছেন আমলা স্যু গ্রে। নিজের রিপোর্টে তিনি স্পষ্ট জানান, এই পার্টিগুলির ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের শীর্ষ স্তরে কর্মরত ব্যক্তিদের যে শৃঙ্খলা মেনে চলা উচিত তা মানা হয়নি। এমনকি সাধারণ ব্রিটিশ নাগরিকদের সেই সময়ে যে শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা তা-ও না। নেতৃত্বের উচিত ছিল কিছু কিছু ক্ষেত্রে পার্টির অনুমতিই না দেওয়া। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পার্টি যে দিকে গড়িয়েছে সে দিকে এগোতে দেওয়া উচিত হয়নি। যে কোনও পেশাদারি কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে তুলনা করলে ওই পার্টিগুলিতে অতিরিক্ত মদ্যপান হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। গ্রে জানান, ডাউনিং স্ট্রিটের কয়েক জন কর্মী বিষয়টি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ জানানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাতে পারেননি।
গতবছরের মে মাসে ব্রিটেনে কোভিড বিধি ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে একাধিক পার্টির খবর প্রকাশ্যে আসে। একাধিক ছবিতে দেখা যায় মহামারী আবহে নিজের বাসভবনে দিব্বি ওয়াইন উল্লাসে মেতে উঠেছেন বরিস ও তাঁর অতিথিরা। যেখানে সরকারের তরফে সকলকে বাড়িতে থাকতে ও যে কোনও জমায়েত থেকে দূরে সরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রী কী করে এমন করতে পারেন প্রশ্ন তোলেন ব্রিটিশ নাগরিকরা। দেশজুড়ে বয়ে যায় প্রবল সমালোচনার ঝড়। কার্যত মুখ পোড়ে শাসকদল কনজারভেটিভ পার্টির।
বিশ্লেষকদের মতে, স্যু গ্রে’র রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে আরও চাপ বেড়েছে জনসনের উপর। এদিকে, বরিস ক্ষমতাচ্যুত হলে তাঁর বদলে ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে কে প্রবেশ করবেন, তা নিয়েও জোর আলোচনা চলছে। খানিকটা প্রথা ভেঙে এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)! তিনি এই মুহূর্তে সেখানকার চ্যান্সেলর। এ নিয়ে আপাতত সরগরম ব্রিটিশ রাজনীতি।