সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তন (Climate change) রুখে পরিবেশ বাঁচাতে এবার সবুজ বিপ্লবের পথে হাঁটছে ব্রিটেন (UK)। শিল্পক্ষেত্রে ১০ দফা নীতি নির্ধারণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। আগামী ২০৩০ সাল থেকে ব্রিটেনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ি। বিক্রিও হবে না। নতুন পদ্ধতিতে অন্তত ৬০ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের কথা ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সবমিলিয়ে, কার্যত পরিবেশ রক্ষায় বড়সড় সংস্কারের পথে হাঁটছে ব্রিটেন।
করোনার কামড়ে গোটা বিশ্ব কাবু হওয়ার পর থেকে বিজ্ঞানীদের একাংশ সরব হয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, পরিবেশের প্রতি উন্নত দেশগুলির যথেচ্ছ অবহেলা মহামারীর জন্য দায়ী। এরপর থেকেই কিছুটা সাবধানী পদক্ষেপ নেয় ব্রিটেন। বরিস জনসন (Boris Johnson) সরকার পরিবেশ রক্ষায় পার্লামেন্টে নতুন আইন আনতে উদ্যোগী হয়। পরিবেশবিদদের মতামত নিয়ে আইন সংশোধনের পক্ষপাতী বলে জানান জনসন। সেসবের প্রস্তুতি চলছিল। এবার পরিবেশ রক্ষায় শিল্পক্ষেত্রে ১০ দফা নয়া নীতি এনে কার্যত তা বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে ব্রিটেন। জোর দেওয়া হচ্ছে অপ্রচলিত শক্তি, পরমাণু শক্তিতে।
[আরও পড়ুন: পৃথিবীতে রয়েছে আর একটিই সাদা জিরাফ! বিরল প্রাণীকে বাঁচাতে অভিনব পদক্ষেপ বনকর্মীদের]
দশ দফা নীতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বেশ কয়েকটি। বায়ুশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া, কার্বন নিঃসরণ কম হয়, এমন উৎপাদন ক্ষেত্র তৈরি আগামী ২০৩০এর মধ্যে, এই একই সময়ের মধ্যে পুরোপুরি বিদ্যুৎচালিত গাড়ি পথে নামানো। একইভাবে বিমান এবং জাহাজ পরিবহণেও শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এছাড়া ছোট পরমাণু চুল্লির বদলে বড় চুল্লির মাধ্যমে পরমাণু শক্তির উৎপাদন আরও বাড়ানোয় জোর দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে এক বছরের মধ্যে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আর এই সংস্কারের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থানের আশা দেখিয়েছে সরকার।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য, প্রশাসনিক উদাসীনতার সুযোগে ফের ম্যানগ্রোভ ধ্বংস]
প্রথম বিশ্বের দেশ হিসেবে পরিবেশ রক্ষায় ব্রিটেনের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। তবে সমালোচনা করে আরেকাংশের মত, এত বড় কাজে মাত্র ৪০০ কোটি পাউন্ড আর্থিক বরাদ্দ বড়ই কম। উচ্চগতি সম্পন্ন ট্রেন তৈরিতে হাজার কোটি পাউন্ড বরাদ্দ করলে পরিবেশের জন্য কেন তার মাত্র এক চতুর্থাংশ? কটাক্ষ করে এই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।