সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) পালটা হানায় মৃত্যু হল একাধিক রুশ সেনা আধিকারিকের। জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের মাটিতেই ঘাঁটি গেড়েছিল রুশ (Russia) সেনার একটি বিশেষ বাহিনী। একটি হোটলে থেকে হামলার কৌশল ঠিক করত তারা। রবিবার সেই হোটেলেই হামলা চালানো হয়েছে। তবে কতজন রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে কিছু জানায়নি স্থানীয় প্রশাসন। তবে অনুমান করা যায়, বড় সংখ্যক রুশ আধিকারিক মারা পড়েছেন।
ইউক্রেনের লুহান্সক অঞ্চলটি বেশ কিছুদিন ধরেই রাশিয়ার (Russia-Ukraine War) অধীনে রয়েছে। এমনকি, গণভোটের মাধ্যমে এই অঞ্চলটি রুশ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। লুহান্সকের একটি হোটেলেই বেশ কিছুদিন ধরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন রাশিয়ার ওয়াগনার মিলিটারি গ্রুপের সদস্যরা। ইউক্রেনের মাটিতে কীভাবে হামলা চালানো হবে, সেই সংক্রান্ত রণকৌশল ঠিক করতেই উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ওই হোটেলে নিয়মিত বৈঠক করতেন। সেই খবর পেয়েই হোটেলে হামলা চালানো হয়। একটি সাক্ষাৎকারে এই খবর জানান লুহান্সকের ইউক্রেনীয় গভর্নর সেরহি গিদাই। তবে হামলার বিষয়ে মুখ খোলেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে হারের দায় নিয়ে পদত্যাগ বিজেপির রাজ্য সভাপতির, হিমাচলে শাস্তি নয় কেন? উঠছে প্রশ্ন]
একটি টিভি সাক্ষাৎকারে গিদাই বলেছেন, “ওয়াগনার বাহিনীর সদর দপ্তরের কাছেই একটি হোটেলে সেনা কর্তারা ছিলেন। ঠিক কতজন ছিলেন তা জানা যায়নি, তবে আমাদের অনুমান অনেক জন সেনা কর্তা ওই হোটেলে উপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে অধিকাংশই মারা গিয়েছেন। আহতদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।” ইউক্রেনের সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনের হামলায় একেবারে গুঁড়িয়ে গিয়েছে রুশ সেনা ঘাঁটি হোটেলটি।
ওয়াগনার বাহিনী সরাসরি রুশ সেনার অংশ নয়। ক্রেমলিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই বাহিনী বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্দিষ্ট কাজ করে থাকে। ইউক্রেনে হামলা চালানোর নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই বাহিনীর। প্রসঙ্গত, শনিবারই ইউক্রেনের মিসাইল হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। তার জেরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে ওডেসা সংলগ্ন বিশাল এলাকা। ভুক্তভোগী হন ১৫ লক্ষ সাধারণ মানুষ। শীতের সুযোগ নিয়ে আক্রমণের তীব্রতা বাড়াবে রাশিয়া, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।