সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুশ হামলায় ধূলিসাৎ ইউক্রেনের একাধিক শহর। রাতদিন মিসাইল আছড়ে পড়ছে কিয়েভ, খারকভের মতো একাধিক শহরে। বুধবার এরকমই হামলায় গুঁড়িয়ে গেল সেভরডোনেৎস্ক। ইতিমধ্যে সেখানে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবার তিনজন শিশুও রয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কির দাবি, ইতিমধ্যে ৫০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পালটা জবাব দিয়েছে ইউক্রেনও।
ইউক্রেনীয় সেনাপ্রধানের দাবি, গত ১৪ দিনে অন্তত ১২০০ রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এদিন নিজেদের ফেসবুক পেজে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হিসেব তুলে ধরেছে ইউক্রেনের সেনা। ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়েছে ৩১৭ রুশ ট্যাঙ্ক, ১০৭০ সাজোঁয়া গাড়ি, ১২০ কামান, ২৮ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪৯টি যুদ্ধবিমান, ৮১ হেলিকপ্টার, ৩টি জাহাজ এবং একাধিক জ্বালানি পরিবহণকারী ট্যাঙ্কও। সবমিলিয়ে ১৪ দিন ধরে যুদ্ধ চালিয়েও এখনও ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া। উলটে বিরাট ধাক্কা খেল পুতিনবাহিনী।
[আরও পড়ুন: ‘শ্রাবন্তী চালাক, যা দেওয়ার দিয়েছে, যা পাওয়ার পেয়েছে’, কেন এমন খোঁচা তথাগতর?]
এদিন সন্ধেয় পর পর তিনটি জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী কিয়েভ। ভেঙেছে একাধিক বহুতল। তবে হতাহতের খবর এখনও মেলেনি। রাষ্ট্রসংঘের দেওয়া হিসেব বলছে, দুই সপ্তাহে ইউক্রেনে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৪ জন। জখম হয়েছেন ৮৬১ জন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইউরোপের এই দেশের।
তবে যুদ্ধ নিয়ে কিছুটা সুর নরম হয়েছে রাশিয়ার। তাঁদের দাবি, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় একধাপ এগিয়েছে। খুব শীঘ্রই মিলবে সমাধানের পথ। মস্কোর আরও দাবি, ইউক্রেনের সরকারকে উৎখাত করার কোনও উদ্দেশ্য নেই রাশিয়ার।