সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ আসন্ন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের (Ukraine) উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্যত রাশিয়া (Russia)। রণডঙ্কা ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফেরার পরামর্শ দিল ভারতীয় দূতাবাস (Indian Embassy)। মঙ্গলবার কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, যেসব পড়ুয়ারা কিয়েভে রয়েছেন, তাঁরা অবিলম্বে দেশে ফিরে আসুক। আর যাঁরা এই মুহূর্তে ফিরতে পারছেন না, তাঁরা যেন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) নিজে নাগরিকদের ইউক্রেন থেকে ফেরানোর বার্তা দিয়েছেন। খালি করা হচ্ছে কিয়েভের (Kyiv) মার্কিন দূতাবাসও।
ইউক্রেন-রাশিয়ার দ্বৈরথ এবার চরমে। সৈন্যসামন্ত নিয়ে ইউক্রেনের উপর ঝাঁপাতে পুরোদমে প্রস্তুত রুশ সেনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জরুরি বৈঠকে বসার আহ্বান জানাল ইউক্রেন সরকার। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এই কথা জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: দাউদকে বাগে আনতে এবার ঝাঁপাল ED, হানা মুম্বইয়ের একাধিক ডেরায়]
আমেরিকা (US) দাবি করেছে, যে কোনও মুহূর্তে ইউক্রেনে অতর্কিতে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া এবং প্রয়োজনে তার জন্য পূর্বনির্ধারিত কোনও কৌশলও অবলম্বন করতে পারে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন, “হামলা হতে পারে যে কোনও দিন। আমরা যথাযথভাবে বলতে পারব না যে সেটা কোন দিন। তবে এই কথাটা বারবার অনেক আগে থেকেই বলে আসছি যে, আমরা সেই সময়সূচির মধ্যে ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছি।” সুলিভান স্পষ্টভাবে কিছু না বললেও মার্কিন গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, বুধবারই ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া। তবে ওয়াশিংটন এ কথাও পাশাপাশি জানিয়েছে, নেটো এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষার জন্য তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।
[আরও পড়ুন: জাতীয় কর্মসমিতি গঠনের পর চলতি সপ্তাহেই প্রথম বৈঠকের ডাক দিলেন মমতা]
এই অবস্থায় ইউক্রেনের ভারতীয়দের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া এখন সে দেশে না থাকার পরামর্শ দিচ্ছে কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস। ইউক্রেনে সফরে নিষেধ করা হয়েছে। আর যেসব নাগরিকরা নিতান্তই প্রয়োজনের তাগিদে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁরা যাতে প্রতি মুহূর্তে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, সেই আবেদন জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালেই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতীয় দূতাবাস। ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতি এবং তার জেরে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কতটা আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে প্রশাসন, তা স্পষ্ট।