সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ‘ঘোস্ট অফ কিয়েভ’ নিয়ে উলটো সুর শোনা গেল ইউক্রেনের (Ukraine) গলায়। দেশটির বিমানবাহিনী দাবি করেছে, ‘কিয়েভের ভূত’ নিছকই একটি গল্প। ফলে তাঁর মৃত্যু হওয়ার খবর ভুয়ো। এই রকম কোনও মানুষ আদপে ছিলেন না বলেই এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছে বাহিনী।
[আরও পড়ুন: ‘ইউক্রেন যুদ্ধে কেউই জয়ী নয়, ভারত শান্তির পক্ষে’, জার্মানিতে বার্তা মোদির]
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। পালটা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বে প্রত্যাঘাত হানে ইউক্রেনীয় ফৌজ। তখনই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে যুদ্ধের প্রথমদিনই রাশিয়ার ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছেন এক ইউক্রেনীয় পাইলট।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থকেই টুইটারে ভাইরাল হওয়া অসংখ্য ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনের ‘মিগ-২৯’ যুদ্ধবিমানের চালকের আসনে এক হেলমেটধারী। ইউক্রেনের নানা শহরে যুদ্ধবিমান নিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এমনকী, নিখুঁত লক্ষ্যভেদে আকাশ থেকে নামিয়ে আনছেন রাশিয়ান বায়ুসেনার বিমান। তারপরই ওই পাইলট ‘ঘোস্ট অফ কিয়েভ’ বা ‘কিয়েভের ভূত’ তকমা পান। জেলেনস্কি সরকারও ওই পাইলটের অভিযান ঘিরে নানা কথা প্রচার করে। তবে শুরু থেকেই ‘কিয়েভের অশরীরী’ আসলে কাল্পনিক চরিত্র বলে মণে করছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি কিয়েভের সেই ‘ঘোস্ট’-এর প্রকৃতপক্ষেই মৃত্যু হয়েছে বলে দ্য টাইম-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে তাঁর পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গত মাসেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে মারা গিয়েছেন ‘ঘোস্ট অব কিয়েভ’ মেজর স্তেপান তারাবালকা। এমন কি তাঁকে মরণোত্তর বীরের সম্মানও দিয়েছিল ইউক্রেন। সবমিলিয়ে, মোট ৪০টি রুশ ফাইটার জেট নাকি গুলি করে নামিয়েছেন তিনি। এবার ইউক্রেনীয় বায়ুসেনা জানাল এমন কোনও যোদ্ধা আদপে ছিলেন না। এই চরিত্র আসলে ইউক্রেনীয়দের কল্পনার ফসল।