সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) মাটিতে আছড়ে পড়ল ৫০০ কেজির অতিকায় বোমা। সেদেশের সুমি শহরের আবাসনের উপরে পড়া ওই বোমার আঘাতে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে দু’জন শিশু। ইউক্রেনের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে একটি টুইট করে একথা জানিয়েছে।
ঠিক কী জানানো হয়েছে? ওই পোস্টে জানানো হয়েছে, ”গত রাতে ফের মানবতা বিরোধী এক অপরাধ করেছে রুশ বিমান চালকরা। তারা ৫০০ কেজির একটি বোমা ফেলেছে এক আবাসনের উপরে। এর ফলে ১৮ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন শিশু রয়েছে।” যেহেতু আবাসনের উপরে বোমা পড়েছে, তাই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: গদি হারাতে পারেন ইমরান খান! পাক প্রধানমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিল বিরোধীরা]
এদিকে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা ওই একই ধরনের আরেকটি বোমার ছবি শেয়ার করেছেন। সেটি ফেলা হয়েছিল চেরনিহিভ শহরে। কিন্তু সেটিতে বিস্ফোরণ ঘটেনি। বারবার রুশ সেনা এভাবে লোকবসতিতে বোমা ফেলে সাধারণ মানুষের চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, মূলত মহিলা, শিশু ও বয়স্কদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। দিমিত্রির কাতর আরজি, ”রাশিয়ার (Russia) বর্বরদের হাত থেকে আমাদের বাঁচান। আমাদের যুদ্ধবিমান দিয়ে সাহায্য করুন।”
মঙ্গলবার ১৩ দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। রাজধানী কিয়েভ, অন্যতম বড় শহর খারকভ-সহ ইউক্রেনের বিরাট অংশে কেবলই ধ্বংসের ছবি। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধে ৪০৬ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ জন শিশু। গুরুতর আহতের সংখ্যা ৮০১। যদিও মৃতের প্রকৃত সংখ্যা অনেকটাই বেশি বলে মনে করা হচ্ছে রাষ্ট্রসংঘের তরফেই।
এদিকে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, সুমি শহরে আর কোনও ভারতীয় পড়ুয়া আটকে নেই। তাঁরা এই মুহূর্তে পল্টোভার দিকে চলেছেন। সেখান থেকে ট্রেনে পশ্চিম ইউক্রেনে পৌঁছে যাবেন ওই পড়ুয়ারা। শিগগিরি তাঁদের দেশে ফেরাতে বিমান পৌঁছে যাবে সেখানে।
[আরও পড়ুন: সোনার পাথরবাটি! নারী দিবসে শুভেচ্ছা তালিবানের, আফগান মহিলাদের সম্মানরক্ষার প্রতিশ্রুতি]
রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, ‘মৃত্যুপুরী’ ইউক্রেন ছেড়েছেন ১৭ লক্ষ মানুষ। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত অল্প সময়ের ব্যবধানে ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সঙ্কট বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। তার মধ্যেই ফের রুশ আগ্রাসনের ছবি এল সামনে।