সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই থামছে না রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে বেনজির রক্তপাতের সাক্ষী হয়ছে দুই দেশ। লড়াইয়ে ক্ষতির পরিমাণ যে কতটা ভয়াবহ তা স্পষ্ট করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর দাবি, যুদ্ধে প্রতিদিন ৬০ থেকে ১০০ জন ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হচ্ছে।
‘নিউজম্যাক্স’ নামের এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, “দেশের পূর্বপ্রান্তে পরিস্থিতি খুবই জটিল। যুদ্ধে প্রতিদিন ৬০ থেকে ১০০ জন ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হচ্ছে। আহত হচ্ছেন আরও অন্তত ৫০০ জওয়ান। তবে আমরা এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।” বলে রাখা ভাল, গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সরকার দাবি করে যে যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার প্রায় ৩০ হাজার সেনা নিহত হয়েছে। তবে কিয়েভেরও যে বিরাট ক্ষতি হচ্ছে সেটাও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বয়ানে স্পষ্ট।
[আরও পড়ুন: অবস্থান বদলে ইউক্রেনকে রকেট সিস্টেম দিচ্ছে আমেরিকা, ‘ফল ভুগতে হবে’, তোপ রাশিয়ার]
উল্লেখ্য, দোনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনার উপর প্রবল চাপ তৈরি করেছে রাশিয়া। লুহানস্কে জেলেনস্কি বাহিনীর শেষ ঘাঁটি সেভেরদোনেৎস্ক শহর নিয়ে জোর লড়াই চলছে দুই ফৌজের মধ্যে। দোনবাস অঞ্চলের অর্ধেক এলাকাই লুহানস্কের অন্তর্গত এবং রাশিয়া এখন এই জায়গাটিকেই তাদের যুদ্ধপ্রয়াসের প্রথান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। যদি দোনবাস রাশিয়ার (Russia) পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে পারেন।
এদিকে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় পনের হাজার যুদ্ধাপরাধের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে ইউক্রেনে (Ukraine)। দ্যা হেগ শহরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দেশটির আইনজীবী ইরিনা ভেনেডিকটভা বলেন, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় ছ’শো সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ৮০টি ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর এই অভিযুক্তদের তালিকায় রুশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র আধিকারিক ছাড়াও দেশটির রাজনীতিবিদ ও রাশিয়ার পক্ষে কাজ করা ‘প্রোপাগান্ডা এজেন্ট’দের নাম রয়েছে। রাশিয়া অবশ্য বরাবরই সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।