সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লড়াইয়ের শুরুতে ব্যাকফুটে থাকলেও ক্রমে জমি শক্ত করছে ইউক্রেন। রাশিয়ার হাত থেকে হারানো জমি উদ্ধার করতে এবার বহু প্রতীক্ষিত ‘কাউন্টার অফেন্সিভ’ বা পালটা মার শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই ‘রক্তের স্বাদ’ পেয়েছে জেলেনস্কি বাহিনী। তিনটি গ্রাম পুনর্দখল করেছে তারা। পিছু হঠেছে রুশ সেনাদল।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, ডোনেৎস্কের উত্তরে রুশ সেনার হাত থেকে তিনটি গ্রাম উদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। বলে রাখা ভাল, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু দোনবাস। ডোনেৎস্ক ও লুহান্সক মিলে তৈরি এই অঞ্চল। শুরু থেকেই এখানে রুশপন্থীদের দাপট রয়েছে। ভৌগলিকভাবে ইউক্রেনের অংশ হলেও সেখানে কোনওদিন সেই অর্থে কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ ছিল না। মার্কিন থিংক ট্যাংক ‘ইন্সটিটিউট অফ দ্য স্টাডি অফ ওয়ার’ জানিয়েছে ফ্রন্টলাইনের অন্তত চরটি সেক্টরে ‘কাউন্টার অফেন্সিভ’ বা পালটা হামলা শুরু করেছে জেলেনস্কি বাহিনী। গত শনিবারই রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই নতুন অভিযানের কথা ঘোষণা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
[আরও পড়ুন: মোদির মার্কিন সফরে মহাভোজ, নিউ জার্সির রেস্তরাঁয় সাজল ‘মোদিজি থালি’]
রবিবার ইউক্রেনের সেনা দাবি করে, পূর্ব-ডোনেৎস্ক ও দক্ষিণ জাপরজাইয়ের মাঝে অবস্থিত ব্লাগোদাৎনে গ্রাম দখল করেছে তারা। দখলমুক্ত করা হয়েছে মাকারিভকা গ্রামও। ইউক্রেনীয় ফৌজের মুখপাত্র ভ্যালেরি শেরশেন টিভিতে বলেন, বেশ কয়েকজন রুশ সেনা ও বিদ্রোহী বাহিনীর সদস্যদের পাকড়াও করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাপরজাই অঞ্চল। রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়ার সঙ্গে পুতিন বাহিনীর ল্যান্ড ব্রিজ এই এলাকা।
সম্প্রতি রাশিয়ার প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই এই ‘কাউন্টার অফেন্সিভ’ বা পালটা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইউক্রেন। ফ্রন্টজুড়ে এবার সেই অভিযান শুরু করেছে তারা। রুশ প্রেসিডেন্টের দাবি, লড়াইয়ের ময়দানে বিশেষ সুবিধা করতে পারছে না ইউক্রেনীয় ফৌজ। যুদ্ধে তাদের প্রচুর জওয়ান হতাহত হয়েছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মুখে যাই বলুন না কেন, ময়দানের পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন পুতিন। বিশেষ করে, ইউক্রেনে মার্কিন ও পশ্চিমের অস্ত্র আসা অব্যাহত থাকায় তাঁর মাথা ব্যথা বাড়ছে।