সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় দিনে পা দিল ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ (Russia-Ukraine Conflict)। ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল। সম্পত্তির পাশাপাশি প্রাণহানিও কম হয়নি। শুধুমাত্র ক্ষতি যে ইউক্রেনের হয়েছে এমনটা নয়, ক্ষতি হয়েছে রুশ সেনারও। তাদের প্রচুর প্রাণহানি হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগ।
[আরও পড়ুন: ব্রিটেনের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় না ভারতীয় বায়ুসেনার, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কী বার্তা দিতে চাইছে নয়াদিল্লি?]
বোমা-বারুদের গন্ধে ভারী হয়েছে ইউক্রেনের বাতাসে। শহরে শহরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে সেনার বুটের শব্দ। একাধিক বহুতলে মিসাইল হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। প্রাণভয়ে মাটির নিচের মেট্রো স্টেশন অথবা বাঙ্কারে আত্মগোপন করছেন ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকরা। তবে এই হামলায় কত সেনা বা নিরীহ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান এখনও মেলেনি।
প্রত্যাঘাত করেছে ইউক্রেনের সেনাও। তাদের তরফে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগের দাবি, সাড়ে তিন হাজার রুশ সেনা জওয়ানকে খতম করা হয়েছে। যুদ্ধবন্দী অন্তত ২০০ জন। হামলায় ধ্বংস হয়েছে রাশিয়ার অন্তত ৮০টি সামরিক ট্যাঙ্ক, ৫১৬টি সাজোঁয়া গাড়ি, ১০টি যুদ্ধবিমান, ৭টি কপ্টার। মাঝ আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২০টি মিসাইল। এদিন দক্ষিণ পশ্চিম কিয়েভের গুলি করে একটি রুশ বম্বার বিমান, একটি কপ্টার এবং একটি রাশিয়ার পরিবহণ বিমান নামানো হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি স্নেক আইল্যান্ড পুনরুদ্ধার করার দাবি জানিয়েছে ইউক্রেন। যদিও এই ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মুখ খোলেনি ক্রেমলিন।
রাশিয়ার অবশ্য পালটা দাবি, তারা ইউক্রেনের ২১১টি সেনাঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন কিয়েভের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখল নিয়েছে রুশ সেনা। এমনকী, মেলিতোপোল শহর দখল নিয়েছে পুতিনের সেনা।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধ ছেড়ে রুশ-ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে বসার ‘উপদেশ’ তালিব সরকারের]
এদিকে রাষ্ট্রসংঘের দাবি, রুশ আগ্রাসনে ইতিমধ্যে ২৫ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন শতাধিক নাগরিক। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ৩ শিশু-সহ ১৯৮ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।