সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্রাইমিয়ার তেলের ভাণ্ডারে এবার হামলা চালাল ইউক্রেন। এমনই দাবি কিয়েভের। ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করেছিল মস্কো। সেখান থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে তেল সরবরাহ করা হত। সেখানেই হামলা চালিয়ে পুতিনকে বড়সড় অস্বস্তিতে ফেলল ইউক্রেন। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ইউক্রেনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ সেনাকে এখানকার টার্মিনালের মাধ্যমে জ্বালানি পৌঁছে দেওয়া হত এখান থেকেই। বার বার মস্কোর জ্বালানি কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে রাশিয়াকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। রুশ বাহিনীর মজুত তেলের বড় অংশই নষ্ট হয়েছে বলে দাবি। এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গুলি করে ১২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন নামিয়েছে রুশ সেনায সব মিলিয়ে ২১টি ড্রোন পাঠিয়েছিল কিয়েভ।
গত ২ বছর ধরে বিরামহীন যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার ইউক্রেনের আকাশে দেখা মেলে রুশ রণতরীর। সেই শুরু। হামলা ও পালটা হামলায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে দুই দেশে। চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার হামলা রুখতে রাশিয়ার মাটিতেই জোরাল হামলার নীতি নেয় ইউক্রেন। চলছে রাশিয়ার দখলে যাওয়া একাধিক অঞ্চল ফের নিজেদের দখলে আনার। সেপ্টেম্বরের শুরুতে রাশিয়ার মস্কো-সহ একাধিক শহর লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। যদিও রাশিয়ার নিরাপত্তাবাহিনীর দাবি, সেই হামলা প্রতিহত করেছে তারা। ইউক্রেনের ১৫৮টি ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই হামলার জেরে মস্কোর একটি তেল শোধনাগারে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছিল। মস্কো থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে ভার অঞ্চলের কোনাকোভো বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গিয়েছিল।