সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে প্রায় তিন মাস হয়ে গেল রুশ সেনার ইউক্রেন আক্রমণের (Russia-Ukraine War)। সেই অর্থে মারিওপোলের মতো বড় শহর দখল করা ছাড়া সেভাবে যুদ্ধে সাফল্য এখনও অধরাই রাশিয়ার। তবুও পুতিনের সেনার হামলায় বহু প্রাণহানি ও সম্পত্তি নষ্টের ঘটনায় জেরবার ইউক্রেন। রুশ সেনার রোষ থেকে মুক্তি পায়নি কিয়েভের (Kyiv) পরিবেশও। এজন্য রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে ইউক্রেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
ইউক্রেনের পরিবেশ সুরক্ষা মন্ত্রী রুসলান স্ট্রিলেটস বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, ”গত ২০ বছরে এটাই বিশ্বের প্রথম সেনা সংঘর্ষের ঘটনা, যেখানে এমন ব্যাপক ভাবে পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আমাদের তেলের ডিপো, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, রাসায়নিক কেন্দ্রে আছড়ে পড়ায় পরিবেশের অবশ্যই বিপুল ক্ষতি হয়েছে। জঙ্গল জ্বলছে। গুরুত্বপূ্র্ণ ও সংরক্ষণযোগ্য বহু কিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: নয়া দুর্নীতির অভিযোগ, লালু ও তাঁর মেয়ের বাড়ি-সহ ১৭ জায়গায় তল্লাশি সিবিআইয়ের]
রাশিয়ার চেরনোবিল দখল করার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে তাঁর মুখে। রুসলান স্ট্রিলেটসের দাবি, সেখানকার পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের আশপাশে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার জেরে বহু গাছপালা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় বিষিয়ে গিয়েছে জমিও। নষ্ট হয়েছে বহু জলাভূমিও। সব মিলিয়ে কেবল চেরনোবিলেই ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। যুদ্ধের সামগ্রিক ক্ষতির পরিমাণ যে এর থেকে অনেক বেশি, সেকথাও বলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত আড়াই মাসের যুদ্ধে ইউক্রেনের বড় কোনও শহর দখল করতে পারেনি রাশিয়া। একমাত্র মারিওপোল-সহ দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস এলাকা এখন রুশ সেনার দখলে। কিন্তু এছাড়াও দেশের বহু অংশে যে রুশ সেনার আগ্রাসন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা স্পষ্ট হয়ে গেল রুসলান স্ট্রিলেটসের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে।