সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে (Ukraine) ধাক্কা খেয়েছে শক্তিশালী রুশ ফৌজ। এখনও কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হওয়ায় বাঙ্কারে বসে কমান্ডারদের একহাত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এহেন পরিস্থিতিতে তাঁর উপর চাপ আরও বাড়িয়ে নয়া মোর্চা খুলেছেন রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি (Alexei Navalny)।
[আরও পড়ুন: আইএসের সঙ্গে একই সারিতে নাভালনি! রাশিয়ার সন্ত্রাসবাদী তালিকায় ঠাঁই পুতিন সমালোচকের]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইউক্রেনে হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পুতিনের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত নাভালনি। এবার জেল থেকেই পুতিনের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি। টুইটার হ্যান্ডেল মারফত নাভালনির বার্তা, “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুতিন যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এবার তিনি সবাইকে বোঝাতে চাইছেন যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গোটা দেশ (রাশিয়া) লড়াই শুরু করেছে। কিন্তু এটা সঠিক তথ্য নয়। আমরা এই যুদ্ধকে সমর্থন করি না। রুশ নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন আপনারা মৌন থাকবেন না। পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করুন।”
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক ও বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি তছরুপের অভিযোগে জেলবন্দি। ইতিপূর্বে ২০২০ সালে তাঁকে বিষ প্রয়োগ করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পিছনে খোদ রুশ প্রেসিডেন্টের হাত ছিল বলে দাবি করেছে ওয়াকিবহাল মহল। এমন পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে জার্মানি থেকে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতেই নাভালনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরেই পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব অ্যালেক্সেই নাভালনি। ক্রেমলিনের অন্দরে টাকা নয়ছয় ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে অতীতে বহু তথ্য ফাঁস করেছে নাভালনির সংস্থা ‘অ্যান্টি করাপশন ফাউন্ডেশন’। ফলে পুতিনের বিষনজরে রয়েছেন তিনি বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। ২০২০ সালের আগস্টের ২০ তারিখ সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে বিমানে মস্কো ফিরছিলেন নাভালনি। মাঝ আকাশে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। উপায় না দেখে ওমস্ক শহরে বিমানের জরুরি অবতরণ করিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। নাভালনি ঘনিষ্ঠদের প্রাথমিক ধারণা, টমস্ক বিমানবন্দরে তাঁর চায়ে বিষ মেশানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, নাভালনির স্নায়ুতন্ত্র ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল। বার্লিনে তাঁর চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। রাশিয়ায় ফিরতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।