সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল যুদ্ধের মাঝেই আচমকা আমেরিকার উদ্দেশে উড়ে গেলেন ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। বুধবার টুইটারে এই ঝটিকা সফরের কথা গোষণা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ভয়াবহ রুশ হামলার মাঝেই জেলেনস্কির আমেরিকা যাত্রা জল্পনা উসকে দিয়েছে।
এদিন, টুইটারে মার্কিন মুলুকে নিজের কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি। তিনি লিখেছেন, ‘‘ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা আরও বাড়াতে আমি আমেরিকার উদ্দেশে পাড়ি দিচ্ছি। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলব। আমি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। আমেরিকার কংগ্রেসে বক্তৃতা দেব। এর পাশাপাশি, একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হবে।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজই জেলেনস্কির সফর নিয়ে টুইট করেছে হোয়াইট হাউস। ‘সাদা বাড়ি’র স্পষ্ট বক্তব্য, যতদিন প্রয়োজন ততদিন ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা।
[আরও পড়ন: রামদেবের ফার্মেসি-সহ ১৬টি ভারতীয় ওষুধ সংস্থা কালো তালিকাভুক্ত নেপালে]
এদিকে, জেলেনস্কির ঝটিকা সফর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। গতকাল বা মঙ্গলবারই বাখমুট শহরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। এরপরই আমেরিকা সফরের ঘোষণা তাঁর। জেলেনস্কির আমেরিকা সফরের ইঙ্গিত মিলেছে আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ-এর সদস্যদের উদ্দেশে লেখা স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির চিঠিতেও। বুধবার ‘গণতন্ত্র’ বিষয়ক একটি বিশেষ আলোচনায় হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ-এর সদস্যদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছেন পেলোসি।
উল্লেখ্য, রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের (Ukraine) গত ১১ মাসের সংঘর্ষে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দু’দেশের। বিশ্বজুড়ে বেড়েছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা। কোন দেশের পক্ষ নেওয়া হবে, এ নিয়ে কার্যত দুভাগে বিভক্ত অন্যান্য দেশগুলি। বেড়েছে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কাও। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতেও আঁচ পড়েছে যুদ্ধের। কিয়েভের (Kyiv) আরজিতে সাড়া দিয়ে মানবিকতার খাতিরে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা (America) ও ইউরোপের বহু দেশ। অস্ত্র ও আর্থিকভাবে যুদ্ধবিধস্ত দেশটিকে সাহায্য করছে তারা।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে আলোচনার পথে হাঁটুক ইউক্রেন, চাইছে আমেরিকা। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গদিচ্যুত না হওয়া অবধি আলোচনার টেবিলে বসতে নারাজ জেলেনস্কির দেশ। কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করেছিল, ইউক্রেনকে এই অবস্থান থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। যদিও পুরো প্রক্রিয়াটাই হয়েছে অত্যন্ত গোপনে ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে।