shono
Advertisement

রুশ আক্রমণে ভেঙে পড়েছে নিজের বাড়ি, লাইভ শোয়ে কেঁদে ফেললেন সাংবাদিক

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সাংবাদিকের আবেগবিহ্বল ভিডিও।
Posted: 02:15 PM Feb 27, 2022Updated: 05:15 PM Feb 27, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “এই যে বাড়িটা দেখছ, এখানেই আমি থাকি। বাড়ির চেহারা দেখে বিশ্বাস করতে পারছি না কয়েক ঘণ্টা আগেও আমি এখানেই ছিলাম।” রাশিয়ার মিসাইলের আঘাতে কার্যত ধ্বংস হয়ে যাওয়া নিজের বাড়িকে টিভির পর্দায় দেখিয়ে লন্ডনের স্টুডিওতে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন বিবিসির (BBC) ইউক্রেনের (Ukraine) সাংবাদিক ওলগা মালচেভস্কা।

Advertisement

একদিকে রাশিয়ান আগ্রাসনের মুখে শোচনীয় অবস্থা ইউক্রেনের, অন্যদিকে দেশ বাঁচাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছেন বহু সাধারণ ইউক্রেনবাসী। এইসঙ্গে উঠে আসছে বহু আবেগময় ছবি ও ভিডিও। সেভাবেই ইউক্রেনের সাংবাদিক ওলগার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত একজন মানুষ কতটা অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়তে পারেন, তার উদাহরণ ওলগা মালচেভস্কা।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, লন্ডনের স্টুডিওতে সহকর্মী সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই ওলগার মোবাইলে একটি মেসেজ ঢোকে। তা পড়ে চোখের জল মুছে ওলগা জানান, “বাড়িতে রকেট বিস্ফোরণের আগেই মা অন‌্য একটি বাড়ির বেসমেন্টে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাই বেঁচে আছেন। সেই কথাটাই এখন মেসেজ করে মা জানালেন। ভাগ‌্য ভাল বিস্ফোরণের আগেই মা বেসমেন্টে লুকিয়ে পড়েছিলেন।”

[আরও পড়ুন: রাজনীতির ঊর্ধ্বে দেশ, রাষ্ট্রের রক্ষায় কিয়েভের রাস্তায় অস্ত্রহাতে জেলেনস্কির ‘শত্রু’]

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি দুনিয়ার সামনে তুলে ধরা নির্ভীক সাংবাদিকের কান্নায় মন ভিজেছে সারা বিশ্বের। ওলগা বলেন, “আজ আমি যখন বাড়ি থেকে স্টুডিওয়ে এলাম তখন একবারও কল্পনা করিনি, আমার বাড়িও বোমায় ছারখার হয়ে যাবে!”

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by BBC News (@bbcnews)

[আরও পড়ুন: এখনও অধরা রাজধানী কিয়েভ, ইউক্রেনের গ্যাস পাইপলাইন ওড়াল ‘হতাশ’ রুশ বাহিনী]

এদিকে একইরকম প্রাণের ঝুঁকির কথা জানিয়ে খারকভের মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নেওয়া কয়েকশো মানুষের দুর্দশার দৃশ্যের ভিডিও পোস্ট করেছেন এক ভারতীয় পড়ুয়া। ওই ভিডিওয় ভারতীয় পড়ুয়া বলেন, “ইউক্রেনের খারকভের পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে এখানে আমরা সবাই আশ্রয় নিয়েছি। এটাই সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। বাইরে শুধু বোমাবর্ষণের আওয়াজ আর বারুদের গন্ধ। ভারতীয় ছাড়াও লেবানন, ইজরায়েল আর ইউক্রেনের মানুষ এখানে লুকিয়ে আছে। এই ভিডিও সবাই ছড়িয়ে দিন যাতে আমাদের মেট্রো স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement