সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ মানেই অনিশ্চিত জীবন। এমন অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে লড়াইকেই কি অমরত্ব বলে! ক’দিন আগেই ইউক্রেনের ওডেশা (Odessa) শহরের একটি বাঙ্কারে বিয়ে করেছিলেন এক ইউক্রেনীয় যুগল। এবার বারুদের গন্ধে ঢাকা যুদ্ধক্ষেত্রে বিয়ে করলেন এক তরুণ ও তরুণী। এক্ষেত্রে বর ও কনে উভয়ই সেনাকর্মী। ভাইরাল হয়েছে সেই বিয়ের ছবি।
রুশ (Russia) হামলার পর থেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের (Ukraine) এমন সব ঘটনা সামনে আসছে, যা চমকে দিচ্ছে বিশ্ববাসীকে। সেইসব ঘটনায় রয়েছে বিশুদ্ধ দেশপ্রেম ও চূড়ান্ত বিপরীত পরিস্থিতিতেও জীবনের জয়গান ঘোষণার তাগিদ! এবার সেই কাজ করে দেখালেন লিসিয়া ও ভ্যালেরি। যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে থেকে বোমা বর্ষণ হচ্ছে, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হানায় কেঁপে উঠছে মাটি, সেখানেই কিছুক্ষণের জন্য বন্দুক নামিয়ে লিসিয়ার হাতে ফুল তুলে দিলেন ভ্যালেরি। বাকি জীবন একসঙ্গে থাকার শপথ নিলেন ওঁরা!
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে এবার রাশিয়ার হাতিয়ার ‘সিরীয় সৈন্য’, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
রবিবার সেনা ক্যাম্পেই বিয়ে করেন লিসিয়া ও ভ্যালেরি। দু’জনেই ইউক্রেনীয় সেনার ১১২ নম্বর ব্রিগেডের জওয়ান। একদিকে যেমন জীবন বিপন্ন করে দেশের জন্য লড়ছেন, তেমনই সম্পর্ককেও স্বীকৃতি দিলেন তাঁরা। কিয়েভ পোস্টের সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) অ্যাকাউন্টে যে ছবি পোস্ট করা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, সেনার পোশাক পরেই বিয়ে সারছেন যুগল। লিসিয়ার হাতে গোলাপ, মুখে হাসি। ভ্যালেরিও খুব হাসছেন। চারপাশে যে যুদ্ধ-মৃত্যু-ধ্বংস তা ওদের হাসি মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই। কিয়েভ পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “আজ যুদ্ধক্ষেত্রে বিয়ে করলেন ১১২ নম্বর ব্রিগেডের দুই সেনাকর্মী লিসিয়া আর ভ্যালেরি। সেনা যাজকই ওদের বিয়ে দিলেন।” ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে ‘মৃত্যুপুরী’তে নিষ্পাপ আনন্দের ছবি।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ চিন সাগরে নৌ-মহড়া লালফৌজের, ঘোলা জলে মাছ ধরতে তৎপর চিন]
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগে ইউক্রেনের ওডেশা শহরের একটি বাঙ্কারে বিয়ে সারেন আরও এক ইউক্রেনীয় যুগল ক্লেভেত ও নাতালিয়া। বেলারুশের (Belarus) একটি সংবাদ সংস্থা প্রকাশ করেছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের সেই ছবি। সেখানে দেখা গিয়েছিল, হাসিমুখে বিয়ের সইসাবুদ সারছেন তরুণ (তাঁর পোশাক দেখে মনে হয় তিনি পেশায় নিরাপত্তারক্ষী)। তরুণীর মুখেও ছিল উচ্ছ্বল হাসি, হাতে গোলাপের তোড়া। আরও একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, দু’জনে উপস্থিত অতিথিদের কেক খাইয়ে উদযাপন করছেন জীবনের অন্যতম বড় দিনটিকে!