সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের (Ukraine) করুণ দশা দেখে। রুশ (Russia) সেনার আক্রমণে দেশজুড়ে ভয়, আতঙ্ক ও যন্ত্রণার ছবি। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের (UN) তরফে ২ কোটি ডলার অর্থসাহায্য়ের ঘোষণা করা হল। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৫১ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এই ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পাশে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। তাঁর কথায়, ”মৃত্যু বাড়ছে। আমরা ইউক্রেনের প্রতিটি প্রান্তে ভয়, যন্ত্রণা ও আতঙ্কের ছবি দেখতে পাচ্ছি। মানুষ, প্রতিদিনই নিরীহ মানুষকে সর্বোচ্চ দাম দিতে হয়।”
[আরও পড়ুন: পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা মোদির, ইউক্রেনের আবেদনেই কি সাড়া দিল ভারত?]
এরই পাশাপাশি যুদ্ধ থামাতে পুতিনের কাছে আরজি জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। গুতেরেস বলেছেন, যেভাবে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, তা ভুল। কিন্তু তা অপরিবর্তনীয় নয়। রুশ সেনাকে ফিরিয়ে নিন পুতিন। তাঁর মতে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যা সিদ্ধান্ত নেবে রাশিয়া তার উপরেই নির্ভর করছে আগামিদিনে কেমন হবে বিশ্ব পরিস্থিতি। এর সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন জড়িয়ে আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, প্রথম দিনই সেদেশের ৮৩টি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকির গলায় ঝরে পড়েছে অভিমানের সুর। তাঁর দাবি, কৃষ্ণসাগর থেকে আজভ সাগর- দেশের সর্বত্র পুতিনের সেনার দাপাদাপির মাঝেও ন্যাটোর (NATO) নেতারা নীরবই রয়েছেন। সকলেই ‘ভীত’ হয়ে রয়েছেন বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। জানাচ্ছেন, ”আজ আমি ইউরোপের ২৭ জন নেতার কাছে জানতে চেয়েছি ইউক্রেন ন্যাটোর অন্তর্গত হবে কিনা। আমি সরাসরিই জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু সকলেই এত ভীত হয়ে রয়েছে, কেউ কোনও উত্তর দিতে পারেনি।” তিনি এও জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘একাই রয়ে গিয়েছে’ ইউক্রেন।
[আরও পড়ুন: হাতে নয়, ভাতে মারার চেষ্টা, রাশিয়ার উপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপালেন বাইডেন]
এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকার দিকেও তাকিয়ে বিশ্ব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাশিয়া কারও কথাতেই ভ্রূক্ষেপ করেনি। ফলে বাড়ছে আতঙ্ক। সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষই ইউক্রেনের অসহায় নাগরিকদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন। এমনকী রাশিয়াতেই রাজপথে নেমেছে যুদ্ধের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা জনতা। তবু রাষ্ট্রসংঘ কেবল আরজির পথেই রয়েছে। অর্থসাহায্য়ের ঘোষণা করলেও রাশিয়াকে রুখতে না পারায় প্রশ্ন উঠছে বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের ভূমিকা ও প্রভাব নিয়েও।