সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর (UN Peacekeepers) গুলিতে মৃত্যু হল দুই সাধারণ নাগরিকের। রবিবার সকালের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস (Antonio Guterres)। কঙ্গো-উগান্ডা সীমান্তে এই গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে। তবে কারা গুলি চালিয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনায় আহত হয়েছেন পনেরো জন। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিবাদীদের বিক্ষোভে উত্তাল কঙ্গো। গত ২৭ জুলাই সেদেশে প্রতিবাদীদের সামাল দিতে গিয়ে পালটা গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছিল দুই ভারতীয় জওয়ানের।
জানা গিয়েছে, রবিবারই ছুটি শেষে কঙ্গো (Congo) সীমান্তে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল অভিযুক্ত জওয়ানদের। সেই সময়েই আচমকা গাড়ি থেকে একদল সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় শান্তিরক্ষা বাহিনীর ওই দুই সদস্য। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় দু’ জনের। আহত হন আশেপাশের পনেরো জন। গুলি চালানোর পরেই তাড়াতাড়ি গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত। গোটা ঘটনার একটি ভিডিও বেশ কিছু জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।
[আরও পড়ুন: ভারতের ব্যাংকগুলির ৭ হাজার কোটি টাকা লুট করে লন্ডনে গুজরাটের যতীন! নীরব কেন্দ্র]
ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব। তাঁর মুখপাত্র টুইট করে জানিয়েছেন, “রবিবার সকালে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর দুই জওয়ান নিজেদের দেশ ফেরার সময়ে কঙ্গো-উগান্ডা সীমান্তে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এই মারাত্মক ঘটনায় অত্যন্ত বিরক্ত মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।” রাষ্ট্রসংঘের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, ঘটনার সময়ে গুলি চালানোর প্রয়োজন ছিল না। তবে অভিযুক্ত দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের তরফে।
অহেতুক গুলি চালানোর ঘটনার প্রতিবাদ করেছে কঙ্গো সরকার। একটি বিবৃতি দিয়ে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, “শান্তিরক্ষা বাহিনীর গুলিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং পনেরো জন আহত হয়েছেন। কঙ্গো সরকার এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে।” তারাও এই ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে। বিক্ষোভে জেরবার কঙ্গোয় দুই ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পরে তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল ভারত। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দাবি করে বার্তা দিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।