সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে জর্জরিত আফগানিস্তানে ক্রমশ বাড়ছে রক্তপাত। এবার হেরাতে রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) দপ্তরে হামলা চালাল তালিবান সন্ত্রাসবাদীরা। ওই আক্রমণে নিহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মী।
[আরও পড়ুন: তিব্বতি পরিবারের এক সদস্যকে যোগ দিতেই হবে লালফৌজে! নয়া ফতোয়া China’র]
আফগানিস্তানে (Afghanistan) নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ‘সরকার বিরোধী শক্তি’ হেরাতে রাষ্ট্রসংঘের দপ্তরে হামলা চালিয়েছে। ওই ঘটনায় আফগান পুলিশের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে রাষ্ট্রসংঘের কোনও কর্মী আহত হননি। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তের স্বার্থে আফগান প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে আন্তর্জাতিক মঞ্চটি। এদিকে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের দপ্তরে হামলার কড়া নিন্দা করছে আমেরিকা।” আফগানিস্তানে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত ডেবরা লায়নসও এই আক্রমণের তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই হামলার নেপথ্যে তালিবানের হাত রয়েছে। তবে এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। জেহাদি দলটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে দাবি করেছে যে, দু’পক্ষের মধ্যে চলা লড়াইয়ের জেরে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ক্রস ফায়ারের মাঝখানে পড়ে ওই পুলিশকর্মীর নিহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই জঙ্গিনেতা আরও জানিয়েছে যে, ঘটনাস্থলে ‘তালিবান যোদ্ধা’রা পৌঁছে গিয়েছে। তারা বিষয়টা খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, হেরাত, জালালাবাদ ও কান্দাহার শহরের অনেকটাই দখল করে ফেলেছে তালিবান। সেখানে আফগান ফৌজের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে জেহাদিদের। সরকারি কমান্ডো বাহিনী ময়দান কামড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দখল করা এলাকায় লুটপাট, তোলা আদায়, কমবয়সি ছেলেদের নিজেদের বাহিনীতে জোর করে যোগ দেওয়ানো ও মেয়েদের ধরে নিয়ে যাওয়ার মতো অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে তালিবান। ফলে রণক্ষেত্র ছেড়ে কাবুলের উদ্দেশে পালিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। সম্প্রতি কান্দাহারের স্পিন বোলদাকে এক হামলায় নিহত হয়েছে একশোরও বেশি সাধরণ মানুষ। ওই ঘটনায় তালিবানের দিকেই আঙুল তুলেছে আফগান প্রশাসন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে আফগান প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ওই শহরে লুটপাট চালাচ্ছে তালিবান জঙ্গিরা। ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকী সরকারি দপ্তরগুলিতে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলে প্রবল গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে আফগানিস্তানে।