দেব গোস্বামী, বোলপুর: নতুন বছরের সমস্ত দ্বন্দ্বের অবসান! একই মঞ্চে দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে। শনিবার জেলা হস্তশিল্প মেলায় অনুব্রতর হাতের উপর হাত রেখে কাজল শেখ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করলেন। জেলা তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নানা জল্পনার মাঝেই প্রকাশ্যে শনিবারের তাঁদের একমঞ্চে দেখা গেল। এর আগেও অবশ্য বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে একসঙ্গে দুজন উপস্থিত ছিলেন। তবে এভাবে একসঙ্গে কোনও অনুষ্ঠান উদ্বোধন সাম্প্রতিককালে বিরল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
শনিবার বোলপুরে শিবতলা বিশ্বক্ষুদ্র বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তরের আয়োজনে হস্তশিল্প মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আর এই অনুষ্ঠানেই উদ্বোধক অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক বিধান রায়, হস্তশিল্প মেলার বিভাগীয় সচিব দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী-সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে অবশ্য মধ্যমণি অনুব্রতই। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কেষ্ট ও কাজলের মুখোমুখি হওয়া। তবে কি মিটল দুজনের অন্তর্দ্বন্দ্ব? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। এর আগে উভয়ের দ্বন্দ্ব জেলার রাজনৈতিক অন্দরে বহু চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও কাজল শেখ বারবার তা অস্বীকার করে কেষ্টকে 'রাজনৈতিক গুরু' বলেছেন। শনিবার মঞ্চের ছবিতে তা আরও একবার স্পষ্ট করলেন কাজল।
এদিন হস্তশিল্প মেলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হস্তশিল্পীদের কারুকার্য দেখে তাঁদের উৎসাহিত করেছেন অনুব্রত। মঞ্চ থেকে তাঁর বক্তব্য, "হস্তশিল্প মেলা জেলাকে আলোকিত করে তুলেছে। এই সময় কালের মধ্যে হস্তশিল্পীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়ির মেয়েরাও স্বনির্ভর হচ্ছেন। শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাট সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সপ্তাহে দুদিন বন্ধ রাখা হয়। আবেদন জানাব জেলা প্রশাসনকে। আর এই দুদিন সোনাঝুরির হস্তশিল্পীদের যেন নিয়ে আসা হয় বোলপুরে বিশ্বক্ষুদ্র বাজারে। তাহলেই হস্তশিল্পীদের কাজ আরও বৃদ্ধি পাবে।"