ব্রতীন দাস: এবার জিটিএ-তে ভাঙন৷ একইসঙ্গে বড়সড় ধস মোর্চায়৷ বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ তুলে মোর্চা ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন জিটিএ চেয়ারম্যান তথা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ভূপেন্দ্র ওরফে প্রদীপ প্রধান৷ বুধবার দুপুরে কার্শিয়াং মোটরস্ট্যান্ডে জনসভায় তৃণমূলে যোগ দেন তিনি৷ তাঁর সঙ্গে মোর্চার বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও কয়েকশো কর্মী-সমর্থক এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ মোর্চা ছেড়ে আসা প্রদীপ প্রধানের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস৷ প্রদীপ প্রধান মোর্চার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য৷ দলের প্রথম সারির নেতা৷ ফলে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় দিশাহারা মোর্চা৷ এর আগে হরকাবাহাদুর ছেত্রী মোর্চা ছাড়ায় এমনিতেই কোমর ভেঙে গিয়েছিল গুরুংয়ের৷ প্রধানকে দলে স্বাগত জানিয়ে অরূপ বলেন, “আরও মোর্চা নেতা তৃণমূলে আসতে চাইছেন৷”
সেইসঙ্গে পাহাড়ে ক্রমশ তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধিতে রীতিমতো কোণঠাসা মোর্চা শিবির৷ পাহাড়ে পায়ের তলার মাটি সরতে থাকায় সন্ত্রস্ত মোর্চা সুপ্রিমো৷ এদিকে প্রবল চাপের মুখে পড়ে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে এদিন থেকে রিলে অনশনে নামানো হয়েছে বিদ্যার্থী মোর্চাকে৷ দার্জিলিংয়ের মোটরস্ট্যান্ড ও কালিম্পংয়ের ডম্বরচকে এদিন সকাল থেকে ওই কর্মসূচি শুরু করেছে তারা৷ দলের সহ সভাপতির তৃণমূলে যোগদান ঠেকাতে দু’দিন আগেই কার্শিয়াংয়ে প্রদীপ প্রধানের বাড়িতে যান গুরুং৷ মোর্চা ও জিটিএ না ছাড়ার জন্য তাঁকে রীতিমতো অনুরোধ করেন তিনি৷ কিন্তু তার পরও জিটিএ চেয়ারম্যানের তৃণমূলে যোগদান ঠেকাতে না পারায় দলের অন্দরে মারাত্মক চাপের মুখে গুরুং৷ তাঁর নেতৃত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও মোর্চা শিবিরে উঠছে প্রশ্ন৷ তবে মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত মুখ না খুললেও দার্জিলিংয়ের ফুপছিরিং পানডম সমষ্টির মোর্চা নেতারা এদিন সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে সাফাই দিতে গিয়ে দাবি করেন, প্রদীপ প্রধান দল ছাড়ায় তাঁদের সমষ্টিতে কোনও প্রভাব পড়বে না৷ প্রদীপবাবু ওই সমষ্টির সভাসদ হলেও তিনি এলাকাতেই আসতেন না বলে অভিযোগ তাঁদের৷
