সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ধারিত সময়সীমা পেরনোর পরেও ব্যাঙ্কে ৬ হাজার ৬৯১ কোটির দুহাজার টাকার নোট জমা পড়েনি। বছরের শুরুতেই বুধবার একথা জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ৯৮.১২ শতাংশ ২ হাজার নোটই ফেরত পাওয়া গিয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম ২ হাজার টাকার নোট বাজারে আসে। এরপর ২০২৩ সালের মে মাসের মাঝামাঝি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাজার থেকে সব ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। বিবৃতি জারি করে আরবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, কারও কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা ব্যাঙ্কে জমা করে বদলে ফেলতে হবে। একবারে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে। যে কোনও ব্যাঙ্কেই এই নোট জমা করে কিংবা বদলে ফেলে অন্য নোট নেওয়া যাবে। পরে সেই ডেডলাইন ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৭ অক্টোবর করা হয়।
বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, বাজারে থাকা ৯৮.১২ শতাংশ ২ হাজার নোটই ফেরত পাওয়া গিয়েছে। এখনও বাজারে ৬ হাজার ৬৯১ কোটির ২ হাজার টাকার নোট পড়ে রয়েছে। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় ওই নোটগুলি জমা দিতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অফিসে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করলেই ওই নোট জমা দিয়ে সেই পরিমাণ টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। তবে ওই টাকা অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা যাবে না।