মনিরুল ইসলাম, উলুবেরিয়া: বাগনান (Bagnan) কাণ্ডে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। মৃতার স্বামীর বয়ানে অসংগতি মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। সত্যিই কি সাতসকালে ছিনতাইবাজের কবলে পড়েছিলেন রিয়া কুমারী ওরফে ইশা আলিয়া? নাকি নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র? উঠছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, মৃত রিয়া কুমারী ওরফে ইশা আলিয়ার আসলে ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী। তাঁর স্বামী প্রকাশ বড় ব্যবসায়ী। শুধু তাই নয়, শর্ট ফিল্মের ডিরেক্টরও তিনি। ইউটিউবার হিসেবেও খ্যাত মহিলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকাশের দাবি, সামনেই মেয়ের জন্মদিন। তাই উপহার কিনতে ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতা আসছিলেন। স্রেফ মেয়ের জন্মদিনের উপহার কিনতে কেন কলকাতা? সেটা প্রশ্ন। সূত্রের খবর, মৃতার স্বামী প্রকাশ ছিনতাইবাজের হামলার দাবি করলেও তা কতটা সত্য তা নিয়ে ধন্দ। কারণ, পুলিশের দাবি, গাড়িতে মেলেনি রক্তের দাগ। এমনকী ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোলও উদ্ধার হয়নি। কিন্তু গাড়িতে গুলি করা হলে রক্তের দাগ মেলাই স্বাভাবিক।
[আরও পড়ুন: জন্মদিনে স্বামীর কাছে সারপ্রাইজ গিফ্ট চেয়ে পাননি, অভিমানে কোলের শিশুকে ফেলে আত্মঘাতী বধূ]
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের তরফে জানানো হয়েছে, গাড়ির কাচ বন্ধ ছিল। মৃতার স্বামীর দাবি, বাইরে থেকে ছিনতাইকারীরা গুলি চালায়। তাহলে কীভাবে গাড়ির কাঁচ অক্ষত অবস্থায় থাকল, সেই প্রশ্ন থাকছেই। এছাড়াও একাধিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে মৃতার স্বামীর ভূমিকা নিয়ে। দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল। গোটা ঘটনার নেপথ্যে দাম্পত্য কলহ রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোরে রিয়া কুমারী, তাঁর স্বামী ও সন্তান ঝাড়খণ্ড থেকে গাড়িতে কলকাতা আসছিলেন। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে হাওড়ার বাগনানের রাজাপুরের কাছে ঘটে ভয়ংকর কাণ্ড। মহিষরেখা ব্রিজের কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলেন মৃতার স্বামী প্রকাশ। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁর গাড়িতে হামলা করে ছিনতাইবাজেরা। রিনা কুমারির থেকে জিনিস হাতানোর চেষ্টা করে। অভিযোগ, বাধা পেয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বধূকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা।