সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সশস্ত্র বাহিনীর কাজে বাধা দিলে বিক্ষোভকারীদের ২০ বছরের জন্য জেলে বন্দি থাকতে হবে। এমনই হুমকি দিয়েছে মায়ানমারের (Myanmar) সেনা শাসিত সরকার। এমনকী, যদি বাহিনী বা পুলিশের উদ্দেশে ঘৃণা বা অপমানসূচক মন্তব্য করা হয়, তাহলেও কারাদণ্ডের শাস্তি ও মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হতে পারে।
মায়ানমারে বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তায় সেনাবাহিনীর সশস্ত্র গাড়ির টহল শুরু হবার পরেই নতুন এই আইনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই আং সান সু কি’র মুক্তির দাবিতে মায়ানমারের পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা বন্ধ করে দিলেও সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দমানো সম্ভব হয়নি।
[আরও পড়ুন: ইংরেজদের দেশে ইতিহাস ভারতীয় কন্যার, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেত্রী এই মেয়ে]
১ ফেব্রুয়ারি আং সান সু কি-সহ মায়ানমারের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা সামরিক বাহিনীর হাতে আটক হন। সোমবার সু কি’কে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনজীবী খিন মাং জাও জানিয়েছেন, সু কি’কে আরও দু’দিন আটক থাকতে হবে। আগামী বুধবার নেপিডোর একটি আদালতে তাঁর ভারচুয়াল বিচার শুরু হবে।
সোমবার সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে যাঁরা বাধা দেবেন, তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। অন্যদিকে, যাঁরা অশান্তি বা উত্তেজনার সৃষ্টি করবেন, তাঁদের তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মায়ানমারে রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। নেট পরিষেবা চালু হতেই এই খবর সামনে আসে।
[আরও পড়ুন: ইয়াঙ্গনে ঢুকল সেনার সাঁজোয়া বাহিনী, মায়ানমারে নাগরিকদের সতর্কবার্তা আমেরিকার]
গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ মায়ানমারের (Myanmar) দখল নেয় সর্বশক্তিমান ‘জুন্টা’। সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি হন নোবেলজয়ী রাষ্ট্রপ্রধান আং সান সু কি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট-সহ অনেকেই। সেনা জানায়, আপাতত এক বছরের জন্য ক্ষমতা দখল করেছে তারা। তারপরেই শুরু হয় দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ।