সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুম্ভ মেলা। ভারতীয় ঐতিহ্য, ভক্তি ও সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক। লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগমে প্রতিবারই এক আলাদা মাত্রা পায় এই মেলা। ছাপিয়ে যায় অন্য সব মেলার জৌলুসকে। দেশে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের এক অনন্য নজির হয়ে রয়েছে কুম্ভ মেলা। আর সেই মেলাকেই এবার বিশেষ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দিল ইউনেসকো।
[অস্তিত্বই নেই, তবুও হন্যে হয়ে এই রেস্তরাঁ খুঁজছেন লন্ডনবাসী]
মানব সমাজের এমন অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় কুম্ভ মেলাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউনেসকো। যে তালিকায় এ বছর আরও ৩৩টি ঐতিহ্যের নাম যোগ হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের শীতল পাটির ঐতিহ্যও। কেন সেই তালিকাতে রাখা হল কুম্ভ মেলাকে? ইউনেসকোর তরফে জানানো হয়েছে, বৈচিত্রের মধ্যেও ধর্মীয় ঐতিহ্যের গুরুত্ব এবং তা পালনের স্বার্থকতাই কুম্ভ মেলার মূল আকর্ষণ। আর সে কারণেই এই বিশেষ স্বীকৃতি পেল ভারতের এই মেলা। তাদের তরফে এই মেলা বিশেষ তকমা পাওয়ায় গর্বিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। শুক্রবার টুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। “ভারতের জন্য দারুণ আনন্দ এবং গর্বের বিষয়,” বলেন মোদি।
[দানবীয় মহাজাগতিক রাক্ষস! ব্রহ্মাণ্ডে খোঁজ মিলল সবচেয়ে ‘প্রবীণ’ অন্ধকূপের]
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে ইউ এন সাংস্কৃতিক বডির বিশ্ব হেরিটেজ কমিটি বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নেয়। হিন্দু পৌরাণিক এই ধর্মীর উৎসব প্রতি চার বছর অন্তর এলাহাবাদ, নাসিক, উজ্জয়িনী এবং হরিদ্বারে পালিত হয়। প্রতি ১২ বছরে আবার এলাহাবাদে এই মেলা চলে টানা ৫৫দিন। গঙ্গা নদীতে ভক্তদের স্নান থেকে তীর্থযাত্রীদের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ঘটে এই স্থানে। আর তাই কুম্ভ মেলার মুকুটে নয়া পালক যোগ করল ইউনেসকো। এই মেলার পাশাপাশি একই স্বীকৃতি পেয়েছে নেপোলিতানের পিজ্জা তৈরি শিল্প, নেদারল্যান্ডসের উইন্ড মিল এবং ইরানের ঘোড় দৌড়ের খেলাও।
The post কুম্ভ মেলাই ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পীঠস্থান, মর্যাদা ইউনেসকোর appeared first on Sangbad Pratidin.