সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা ও আমলাতন্ত্রের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে যে অর্ডিন্যান্স কেন্দ্র সরকার জারি করেছিল, সেটা সংসদের চলতি অধিবেশনেই বিল আকারে পেশ হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে এই অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করার প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে । খুব শীঘ্রই এই বিলটি সংসদের দুই কক্ষে পেশ করা হবে বলে খবর।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পদস্থ আমলাদের বদলির অধিকার বর্তেছিল দিল্লি সরকাররের হাতেই। সেই সুপ্রিম রায় বাতিল করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। The Government of CNCT of Delhi (Amendment) ordinance শীর্ষক একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয় কেন্দ্রের তরফে। গঠন করা হয় ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিসেস অথরিটি’। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি অ্যাক্ট, ১৯৯১-কে সংশোধন করে এই অধ্যাদেশ আনে মোদি সরকার। ফলে সুপ্রিম রায় বাতিল হয়ে ফের দিল্লির আমলাদের বদলির ক্ষমতা চলে যায় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই। ওই অধ্যাদেশের ফলে আমলা বদলির ক্ষেত্রে ফের ‘সর্বশক্তিমান’ হয়ে ওঠেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। অধ্যাদেশটিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দিল্লি প্রশাসনে কর্মরত গ্রুপ-এ আমলাদের বদলি তথা নতুন পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবেন উপরাজ্যপালই।
[আরও পড়ুন: INDIA জোটকে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা! মোদির মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক]
তবে এই অর্ডিন্যান্সকে বিল আকারে সংসদের দুই কক্ষে পাশ করতে হবে সরকারকে। সেই লক্ষ্যেই প্রাথমিক পদক্ষেপ করে ফেলল মোদি সরকার। বিলটিতে ছাড়পত্র দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই বিলটির বিরোধিতা করতে সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে পাশে চাইছে আপ। ইতিমধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee),এনসিপি (NCP) সুপ্রিমো শরদ পওয়ার, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন-সহ বিজেপি বিরোধী প্রায় সব আঞ্চলিক দল। দোটানার পর কংগ্রেসও এই বিলে কেন্দ্রের বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: রিলস বানাতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি! ঝরনার জলের তোড়ে ভেসে গেলেন যুবক, প্রকাশ্যে ভিডিও]
এই মুহূর্তে মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। প্রায় প্রতিদিনই বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হচ্ছে। তবে এবার সরকারপক্ষ ঠিক করেছে বিরোধিতার মধ্যেই একপাক্ষিকভাবে বিল পাশ করানো হবে। সম্ভবত সেকারণেই তড়িঘড়ি দিল্লি অর্ডিন্যান্স পেশের সিদ্ধান্ত। এই বিলটি পেশ করলে বিরোধীদের একপ্রকার বিক্ষোভ বন্ধ করে বিলের বিরোধিতা করতে বাধ্য করতে পারবে কেন্দ্র। কারণ কেজরিওয়ালের জন্য এই আইন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখার বিরোধী শিবির কী পদক্ষেপ করে।