নন্দিতা রায়: করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিধ্বস্ত দেশ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত কয়েকদিনের ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কোভিড (COVID-19) মোকাবিলায় কড়া হওয়ার বার্তা দিল কেন্দ্র। স্থানীয় কনটেনমেন্ট জোন গড়ার নির্দেশের মধ্যে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের ইঙ্গিত।
রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে সব অঞ্চলে সংক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি, সেগুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে। বিশেষ নজর দিতে হবে যাতে সেখানে সংক্রমণের হার আর না বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে জেলা/ শহর/ অঞ্চলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দু’টি শর্তের কথা বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কোন পর্যায়ের করোনা রোগীর অক্সিজেন- রেমডেসিভির প্রয়োজন? জানালেন এইমস প্রধান]
এই দু’টি শর্তের একটি হল ১ সপ্তাহের মধ্যে যদি কোভিড পরীক্ষায় ১০ শতাংশ বা তার বেশি মানুষ সংক্রমিত হন। অন্যটি হল যদি হাসপাতালগুলিতে ৬০ শতাংশের বেশি রোগী অক্সিজেন সাপোর্টে কিংবা আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন থাকেন। এই শর্তগুলির যে কোনও একটাও যদি পূরণ হতে দেখা যায়, তাহলে সেই জেলাগুলিতে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। স্থানীয় কনটেনমেন্ট জোনের কথা ভাবতে হবে। যে সমস্ত অঞ্চলে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে, সেখানে ১৪ দিনের জন্য কড়া নজরদারি চালাতে হবে যাতে সংক্রমণের শৃঙ্খলকে ভাঙা যায়। ওই সব অঞ্চলে বেশি সংখ্যক মানুষের জমায়েত ইত্যাদি বিষয়ে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। ওই সব এলাকার পরিস্থিতি প্রতি সপ্তাহের ভিত্তিতে নজরে রাখতে হবে। এবং সম্ভব হলে অনলাইনে সেই পরিসংখ্যান জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষে পৌঁছে গিয়েছে। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ২,৭৬৭ জন। পশ্চিমবঙ্গেও হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেব বলছে রাজ্যে প্রায় ১৬ হাজার। মারা গিয়েছেন ৫৭ জন। অত্যন্ত ভয়ঙ্কর অবস্থা মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে। বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেসই বলে দিচ্ছে, কেন চতুর্দিকে অক্সিজেন এবং বেডের অভাব। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও ভাবে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফকে নিচে নামাতে মরিয়া সরকার। এবার তাই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উদ্দেশে এই নির্দেশ পাঠাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক।