সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিষিদ্ধ হওয়ার পরও দেশজুড়ে নাশকতার জাল বিছিয়েছে সিমি ওরফে স্টুন্ডেস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (SIMI)! সময়ের সঙ্গে সিমি ভোলবদলে রূপ নিয়েছে আজকের পিএফআই তথা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এমনই খবর। অভিযোগ, নাম বদলে গোটা দেশে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে পিএফআইয়ের সদস্যরা। সিমির কায়দায় ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে জাতি বিদ্বেষ ছড়িয়েছে এই সংগঠনের সদস্যরা।
২০০৬ সালে কেন্দ্রের তরফে স্টুন্ডেস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র সরকার। দেশজুড়ে নাশকতা ছড়ানো। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির মতো কাজ করত তারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও গোপনে নিজেদের অ্যাজেন্ডা প্রচার করেছে। যোগাযোগ রেখেছে আলকায়দা, ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে। গোয়েন্দাদের অনুমান, সিমির প্রতিষ্ঠাতাদের ইন্ধনে তৈরি হয় পিএফআই। যা আদপে সিমিরই ছায়া। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি. পিএফআইয়ের বেশকিছু সদস্য সিমির শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন।
[আরও পড়ুন: দেড়বছর হাত গুঁটিয়ে বসে থেকে সংগঠন দুর্বল হয়েছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট বনসলের]
শুধু সিমির কর্মকর্তারাই নয়, সঙ্গী ছিল জেএমবি জঙ্গী সংগঠনের চাঁইরাও। সিমির মতোই পিএফআইয়ের সদস্যরাও দেশের অন্দরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপের জন্য আইসিস, আলকায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে PFI নিয়মিত যোগাযোগ রাখত বলেও অভিযোগ। কেরল-সহ একাধিক রাজ্যে আরএসএস, বিজেপির একাধিক নেতার খুনের সঙ্গেও তারা যুক্ত ছিল বলে দাবি। এমনকী, পিএফআইয়ের সদস্যরা সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটে (ISIS) যোগ দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, বুধবার ইউএপিএ আইনের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পিএফআই (PFI) সংগঠনকে। শুধু পিএফআই-ই নয়, এরসঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন যেমন সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্টকেও বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সমস্ত সংগঠনকেই নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।