গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ইছামতী নদী সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিনের। বন্দর গড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। বসিরহাটের বিজেপি সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে আয়োজিত এক রক্তদান শিবিরের কর্মসূচিতে একথা জানালেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও স্থলবন্দর প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের দেড়শো থেকে দু’শো কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে ইছামতী নদী। নাব্যতা হারিয়ে ইছামতী মৃতপ্রায়। ইছামতীকে বাঁচানোর জন্য আন্দোলনও চলে। নদী সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিনের। জলপথে যাতায়াত আরও সুগম করার লক্ষ্য কেন্দ্র সরকারের। এছাড়াও বন্দর গড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে ছোট ছোট জাহাজ চালানো যাবে। তার ফলে জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করাই লক্ষ্য বলেই দাবি কেন্দ্রীয় জাহাজ ও স্থলবন্দর প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। তাঁর দাবি, “তাজপুর বন্দরটা আমরা সংস্কার করে বৃহত্তম বন্দর করতে চাইছি।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাজপুর বন্দর সংস্কারে বাধা দিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: নদিয়ায় ক্রমাগত কিডনি ‘দান’, কারণ ঘিরে বাড়ছে রহস্য]
চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে বিজেপিতে ভাঙন ধরেছে। একের পর এক নেতাকর্মী দল বদল করছেন। স্বাভাবিকভাবেই শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের। সে প্রসঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। তাঁর দাবি, “বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ভয় পাচ্ছেন তাই শাসকদলের দিকে ঝুঁকছেন। তৃণমূল মারামারি আর সন্ত্রাস বন্ধ করুক। দেখবেন বিজেপির সঙ্গে লোক বেশি রয়েছে। সন্ত্রাসের ভয়ে মানুষ বিজেপি থেকে ওই দলে যাচ্ছেন।” যদিও শান্তনুর দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করেছে তৃণমূল।