রাজা দাস: দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) শহরের তিনটি পৃথক জায়গায় চালু হল বিনামূল্যের মাস্ক এটিএম (Mask ATM)। অভিনব এই উদ্যোগের পিছনে আসল উদ্দেশ্য মানুষকে এব্যাপারে সচেতন করে তোলা। কাপড়ের আড়াল কিংবা রুমালে মুখ ঢাকার প্রবণতা এতে অনেকটাই কম হবে বলে ধারণা উদ্যোগী সংস্থার।
করোনা (Coronavirus) রুখতে অন্যতম হাতিয়ার মাস্কের (Mask) ব্যবহার। বাইরে বেরলেই মাস্কে মুখ ঢেকে রাখলে সংক্রমণের হাত থেকে অনেকটাই নিজেকে রক্ষা করা যায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এব্যাপারে প্রথম থেকেই প্রচারও করা হচ্ছে। কিন্ত তবুও নাকের নিচে, কানে ঝুলিয়ে বা হাতে মাস্ক রেখে নিয়মরক্ষা করতে দেখা যায় একশ্রেণির মানুষকে। আবার কেউ কেউ নিয়মরক্ষায় নাকমুখে কাপড় কিংবা রুমাল আটকে রাস্তায় বের হন।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবিলায় জেলায়-জেলায় চালু হেল্পলাইন, রইল নম্বরের তালিক]
এই পরিস্থিতিতে মাস্ক ব্যবহারের সচেতনতায় অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বালুরঘাটের স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠন। তারা চালু করেছে মাস্কের এটিএম। বালুরঘাট শহরের গুরুত্বপূর্ণ বা ব্যস্ততম বড়বাজার, থানা মোড় এবং প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ড এই পৃথক তিনটি জায়গায় তৈরি এটিএম থেকে বিনামূল্যেই মাস্ক পাবেন পথচলতি মানুষ।
সংস্থার সম্পাদক সরোজ কুন্ডু জানাচ্ছেন, ‘‘করোনা অতিমারি থেকে বাঁচতে বাইরে বেরলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেকটি মানুষকে মাস্ক পরাতে আমরা বদ্ধপরিকর। এটিএমের ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে মানুষকে বিনামূল্যে মাস্ক দেওয়ার পাশাপাশি আমরা সচেতনতার বার্তাও দিতে পারছি।’’
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ শুরুর প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞরা বারবার জানিয়েছেন তিনটি কোভিড বিধি মেনে চলতে। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বাইরে বেরলে হাত বারবার স্যানিটাইজ করা। এই তিন সচেতনতা যে মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে সেকথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। কিন্তু তবুও মানুষকে সচেতন করা যায়নি। গত মাসেই দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এর ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করতে বালুরঘাটের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে রাজ্যের অন্য সব অঞ্চলকেও দিশা দেখাবে। তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।