অভিরূপ দাস: রথ সাজালে ও টানলে পূণ্য মিলতো। এবার মিলবে টাকাও। এমনই এক অভিনব প্রতিযোগিতা হতে চলেছে শহর কলকাতায়। আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে রথযাত্রা। রথে চেপে মাসির বাড়িতে যাবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। আর তাদের রথ সাজিয়ে আনলে মিলতে পারে পুরস্কার।
সূত সংহিতায় রয়েছে, ‘রথে তু বামনাং দৃষ্টা, পুনর্জন্ম ন বিদতে।’ ধার্মিক হিন্দু বিশ্বাস করেন যে, রথের রশি ছোঁয়ার থেকে বড় পূণ্য আর কিছুতে হয় না। উত্তর কলকাতার শ্রদ্ধানন্দ পার্কে রথযাত্রার (Rath Yatra) দিনে অভিনব এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। রথ সাজিয়ে আনলেই মিলবে পুরস্কার। মূলত সৃজনশীলতার দিকে নজর রেখেই তুলে দেওয়া হবে কড়কড়ে টাকা। প্রথম পুরস্কার ৫ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পুরস্কার ৩ হাজার টাকা। তৃতীয় পুরস্কার ২ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই অগুনতি প্রতিযোগী নাম দিয়েছেন প্রতিযোগিতায়।
[আরও পড়ুন: দলীয় কোন্দলে জর্জরিত গেরুয়া শিবির, বঙ্গ বিজেপির ক্ষত মেরামতে রাজ্যে আসছেন হেভিওয়েট নেতারা]
প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ছাড়াও যাঁরাই প্রতিযোগিতায় নাম দেবেন প্রত্যেকের জন্য রয়েছে সান্ত্বনা পুরস্কার। কলকাতা পুরসভার ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রদ্ধানন্দ পার্কে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে শিয়ালদহর জাতীয় যুব সঙ্ঘ। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন স্থানীয় কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুরীতে জগন্নাথের রথ, মায়াপুরে ইসকনের রথ, শ্রীরামপুরে মাহেশের রথ, হুগলিতে রাজবলহাটের রথ, বেলঘরিয়ায় রথতলার রথ, আড়িয়াদহের রথ, আদ্যাপীঠের রথ- এ সব বিখ্যাত রথ তো আছেই, সে বাদেও রথ এখন সর্বত্র। পাড়ায় পাড়ায়, মন্দিরে, রাস্তায়, এমনকী অলিতে-গলিতে। মোনালিসা জানিয়েছেন, রথযাত্রা স্রেফ একটা উৎসব নয়। একটা আবেগ। ছোটবেলায় রথ টানেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই প্রতিযোগিতা সেই সমস্ত প্রৌঢ়দের নস্টালজিয়াও উস্কে দেবে।