সুব্রত যশ, আরামবাগ: কেউ দিচ্ছেন উলু। কেউ বাজাচ্ছেন শাঁখ। মন্দিরে ভিড়। একেবারে বিয়েবাড়ির পরিবেশ। তবে কোনও নারী-পুরুষ নন, বর কনে দু’টি ব্যাঙ। বৃষ্টির কামনায় ব্যাঙের বিয়ের আসর বসল হুগলির আরামবাগের পাঢ়ের ঘাট কালীমন্দিরে।
বৈশাখ মাসের বেশ কয়েকটা দিন কেটে গিয়েছে। কাঠফাটা রোদে পুড়ছে বাংলা। টানা ৫৭ দিন দেখা নেই বৃষ্টির। গরমে হাঁসফাস দশা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের। তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি হয়েছে। প্রচণ্ড গরম প্রাণ কেড়েছে কয়েকজনের। বৃষ্টির অভাবে শুকনো খটখটে মাঠঘাটও। চাষের কাজ করতে পারছেন না কৃষকরা। আশার বাণী শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিস। রাজ্যবাসীর একটাই প্রার্থনা, একটু বৃষ্টি হোক।
[আরও পড়ুুন: ‘পেট্রোপণ্যে ভ্যাট না কমানো রাজ্যবাসীর সঙ্গে অন্যায়’, বাংলা-সহ বিরোধী রাজ্যগুলিকে তোপ মোদির]
গ্রামবাংলার এখনও অনেকেই বিশ্বাস করেন, ব্যাঙের বিয়ে দিলেই নাকি বৃষ্টি হয়। আর সেই বিশ্বাসেই ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করলেন হুগলির আরামবাগের বাসিন্দারা। আরামবাগের পাঢ়ের ঘাট কালীমন্দিরে ছাদনাতলা তৈরি করা হয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে দু’টি ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
আরামবাগের বাসিন্দাদের আশা, এবার বৃষ্টি নামবে। মিলবে স্বস্তি। তবে ব্যাঙের বিয়ে দিলেই বৃষ্টি হবে – এ বিশ্বাস স্রেফ কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু নয় বলেই মত বিজ্ঞানমঞ্চের সদস্যদের। তবে এ নিয়ে তর্কবিতর্ক নতুন নয়। প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তি দিতে কবে বৃষ্টির দেখা মেলে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
দেখুন ভিডিও: