সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তবু থামেনি হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। গাজায় এখনও হামাস জঙ্গিদের ডেরায় বন্দি শতাধিক পণবন্দি। কবে তাঁরা মুক্তি পাবেন? কবে ফিরবেন ঘরে? এর উত্তর জানতে ইজরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাঁদের পরিবার। এই প্রেক্ষাপটে পণবন্দিদের মুক্তির জন্য বিশেষ বৈঠকে বসল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
এই সাত মাসে যুদ্ধবিরতি নিয়ে বহুবার আলোচনা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে (United Nations)। তখন একাধিকবার পণবন্দিদের মুক্তির প্রসঙ্গও উঠেছে। কিন্তু এই প্রথমবার শুধুমাত্র পণবন্দিদের কথা ভেবে বৃহস্পতিবার বৈঠক হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদে। কারণ গাজায় আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে ইজরায়েল। রাফাতেও ঢুকতে শুরু করেছে ইজরায়েলি ফৌজ। এই পরিস্থিতিতে হামাসের হাতে বন্দিদের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড নিরীহ মানুষদের বন্দি বানানোর নিন্দা করে বলেছেন, "গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন ইজরায়েলে হামলা চালায়। বহু মানুষকে পণবন্দি বানিয়ে গাজায় নিয়ে যায়। যতদিন না প্রত্যেক বন্দি সুরক্ষিতভাবে ঘরে ফিরছেন, ততদিন আমরা চুপ করে বসে থাকব না।"
[আরও পড়ুন: মশলায় ক্যানসারের ‘বিষ’! এবার নামী দুই ভারতীয় সংস্থাকে নিষিদ্ধ করল নেপাল]
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের (Israel) বুকে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। ওই আক্রমণে মৃত্যু হয় ১২০০ জন ইজরায়েলির। জেহাদিদের হাতে পণবন্দি হন ২৪০ জন। গত নভেম্বর মাসে সাময়িক যুদ্ধ বিরতিতে মুক্ত হয়েছিলেন ১০৫ জন। কিন্তু এখনও হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন ১৩২ জন। ফলে যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে অপেক্ষা। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে পণবন্দিদের পরিবারের। গত এপ্রিল মাসেই দ্রুত তাঁদের মুক্তির দাবি নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনেও জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আন্দোলনকারীরা।
[আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের আহ্বানে মুখোমুখি বিতর্কে রাজি বাইডেন ও ট্রাম্প, কবে হবে জোড়া বাকযুদ্ধ?]
সকলেরই অভিযোগ ছিল, পণবন্দিদের দ্রুত মুক্ত না করতে পারাটা নেতানিয়াহুর ব্যর্থতা। এক প্রতিবাদী যেমন বলেছিলেন, “আপনি (নেতানিয়াহু) যুদ্ধবিরতির চুক্তি হতে দিচ্ছেন না। আমাদের ও আমাদের প্রিয়জনদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আপনিই।” অন্য আরেকজনের মন্তব্য ছিল, “আমরা দেখতে পাচ্ছি কীভাবে রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আমাদের অপহৃত প্রিয়জনদের মুক্ত করতে তিনি কতটা চিন্তা করছেন তাও বোঝা যাচ্ছে।” এবার বন্দিদের দ্রুত ঘরে ফেরাতে আলাদাভাবে আলোচনা শুরু করল রাষ্ট্রসংঘ।