shono
Advertisement

বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে রাশিয়া, মস্কোয় মিলবে গবেষণার সুযোগ

বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে স্বাক্ষরিত হচ্ছে 'মউ'।
Posted: 09:15 PM Apr 18, 2022Updated: 09:17 PM Apr 18, 2022

দীপঙ্কর মণ্ডল: ইউক্রেনের (Ukraine) আকাশে নতুন করে দেখা যাচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধ বিমান। যুদ্ধে দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত। ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা দেশে ফিরেছেন অনেক আগে। বিভিন্ন রাজ্যের সরকার তাঁদের পুনর্বাসন করছে। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিলে বাংলার সরকার ইউক্রেন ফেরত সব পড়ুয়াকে রাজ্যে পড়ার সুযোগ দেবে বলে ঘোষণা করেছে। এই আবহে রাজ্যের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় (Vidyasagar University) রাশিয়ার একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ গবেষণায় গাঁটছড়া বাঁধছে।

Advertisement

বুধবার রাজ্য সরকারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিন দুই প্রতিষ্ঠানের ‘মউ’ (MoU) স্বাক্ষর হবে। দুই দেশের গবেষকরা এই নয়া চুক্তির ফলে উপকৃত হতে চলেছেন। আদিবাসী ও জনজাতি বিষয়ের গবেষকরা এই চুক্তিতে বেশি উপকৃত হবেন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিবাজীপ্রতিম বসু জানিয়েছেন, “রাশিয়ার সংস্থার সঙ্গে চুক্তি জনজাতিদের নিয়ে আর্থ সামাজিক গবেষণায় এক নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করবে। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা যেমন রাশিয়ার ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গবেষণা করার সুযোগ পাবেন তেমনই সেখানকার ছাত্রছাত্রীরাও এখানে এসে গবেষণা করতে পারবেন।”

[আরও পড়ুন: রাজ্যে সাড়ে ১১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, প্রচুর কর্মসংস্থানের ঘোষণা নবান্নর]

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) আবহে দু’দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির ‘মউ’ স্বাক্ষর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। যুদ্ধের কারণে ‘মউ’ স্বাক্ষরের দিন মস্কো থেকে কেউ আসতে পারছেন না। নবান্ন সূত্রে খবর, চুক্তির দিন কলকাতাস্থিত রাশিয়ার কনসাল জেনারেল হাজির থাকবেন। যুদ্ধের আবহে এই চুক্তিতে বিশ্বরাজনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না তো? বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে যুদ্ধের অনেক আগে থেকে আলোচনা চলছিল।

উল্লেখ্য, মস্কোর সঙ্গে নয়া দিল্লির সম্পর্ক বরাবর ভাল। শিক্ষা, সংষ্কৃতি এবং শিল্পে দুই দেশের যৌথ অংশগ্রহণ আগে বহুবার হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে অনেকে আদিবাসীদের উপর গবেষণা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গড়ে উঠেছে ‘সেন্টার ফর আদিবাসী স্টাডিজ অ্যান্ড মিউজিয়াম।’ পিছিয়ে পড়া জনজাতিদের নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগই গাঁটছড়া বাঁধছে ‘রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অফ্ সায়েন্স’–এর অধীন ‘ইনস্টিটিউট অফ এথনোগ্রাফি এণ্ড এনথ্রোপলজি’বিভাগের সঙ্গে।

[আরও পড়ুন: ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য সুখবর! শীঘ্রই চালু হতে পারে কলকাতা-কাঠমান্ডু বাস পরিষেবা]

নতুন গাঁটছড়ায় ভারত এবং রাশিয়ার আদিম জনজাতির শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে সংস্কৃতির বিষয়গুলিও নতুন ভাবে গোটা বিশ্বের সামনে আসবে। নবান্নের উদ্যোগে ২০ এপ্রিল থেকে দু’দিনের জন্য বিশ্ব বঙ্গ বানিজ্য সম্মেলন শুরু হবে। সেখানে বিদ্যাসাগরের পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন দেশের সংস্থার সঙ্গে ‘মৌ’ স্বাক্ষর করবে। আগের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে বেশ কয়েকটি দেশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার