সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেপ্তারি নিয়ে আমেরিকার মন্তব্য অপ্রয়োজনীয় ও তা একেবারেই গ্রহণীয় নয়। বৃহস্পতিবার এভাবেই ওয়াশিংটনকে বিঁধল নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের দাবি, ভারতের নির্বাচনী ও আইনি প্রক্রিয়ায় এই ধরনের হস্তক্ষেপ কোনওভাবেই কাম্য নয়। গতকালই এই বিষয়ে মার্কিন দূতকে তলব করেছিল বিদেশমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, জার্মানির সুরে সুর মিলিয়ে আমেরিকা মঙ্গলবার জানায়, কেজরির গ্রেপ্তারির বিষয়টি তাদের নজরাধীন রয়েছে। সেই সঙ্গে আপ সুপ্রিমোর বিচার যেন ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী হয়, সেকথা জানিয়ে নয়াদিল্লির উপরে পরোক্ষে চাপ সৃষ্টি করে মার্কিন (US) প্রশাসন। এর আগে জার্মানিও কেজরির গ্রেপ্তারি নিয়ে একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: রাজনীতিতে ‘কাপুর সিস্টার্স’! কোন দলের হয়ে ভোটে লড়বেন করিশ্মা-করিনা?]
এই পরিস্থিতিতে এদিন রণধীর বলেন, ”নির্বাচনী ও আইনি প্রক্রিয়ায় এই ধরনের কোনো বাহ্যিক হস্তক্ষেপ আদপে গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতে আইনি প্রক্রিয়া শুধুমাত্র আইনের শাসন দ্বারা চালিত হয়। যে সব দেশের একই নীতি, বিশেষ করে একই রকম গণতন্ত্রের, তাদের এই সত্যকে উপলব্ধি করতে কোনও অসুবিধা হবে না।” সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ভারত তাদের ‘স্বাধীন ও শক্তিশালী’ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ে গর্বিত এবং অনাবশ্যক বাহ্যিক প্রভাব থেকে সেগুলিকে রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এদিকে আমেরিকার মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ নিয়েও। হাত শিবিরের দাবি, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে তাদের অনেক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ভোটপ্রচারে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কংগ্রসকে। এই অভিযোগও এদিন উড়িয়ে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। এদিন রণধীর আরও বলেন, ”কূটনীতিতে দেশগুলিকে অন্যের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির প্রতি সম্মান দেখাতে হয়। সেই দায়িত্ব অন্য গণতন্ত্রগুলির ক্ষেত্রেও আরও বেশি। অন্যথায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।”
[আরও পড়ুন: নিজে খেলেন, খাওয়ালেনও! হুগলিতে সুপারহিট রচনার ‘ঘুগনি ট্রিট’, কপাল খুলল বিক্রেতার]
এর আগে জার্মানিও কেজরির গ্রেপ্তারি নিয়ে একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছিল। জার্মান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা, যে কোনও অভিযুক্তের মতোই কেজরিওয়ালও ন্যায্য ও পক্ষপাতহীন বিচারের অধিকারী। কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই তিনি যেন সব ধরনের আইনি রাস্তায় যেতে পারেন।” জার্মান হস্তক্ষেপেরও তীব্র বিরোধিতা করে নয়াদিল্লি।