সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে ধরা পড়ল দুই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি। গতকাল তাদের উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের দেওবন্দ থেকে গ্রেপ্তার করে অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের অফিসাররা। ধৃতদের একজনের নাম শাহনওয়াজ আহমেদ তেলি ও অন্যজন আকিব আহমেদ আলি। শাহনওয়াজ দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের বাসিন্দা আর আকিব পুলওয়ামার। ধৃতদের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদের হয়ে লোক জোগাড় করার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের জন্য অর্থ জোগাড়েরও অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, পড়ুয়ার বেশে গা ঢাকা দিয়েছিল ধৃত দুই জঙ্গি।
এপ্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং বলেন, “সাহারানপুর থেকে অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের হাতে ধৃত দুই সন্দেহজনক জঙ্গিকে জেরা করে গতকাল শাহনওয়াজ ও আকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহনওয়াজের বাড়ি কুলগাম ও আকিবের বাড়ি পুলওয়ামা। ধৃতদের কাছ থেকে দুটি অস্ত্র ও তাজা কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে। জেরায় জানা গিয়েছে, শাহনওয়াজ গ্রেনেড তৈরিতে একজন বিশেষজ্ঞ। কাশ্মীর থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসার পর ধৃতদের জেরা করে তাদের পরবর্তী টার্গেট কী? সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালানোর জন্য কে তাদের টাকা জোগাচ্ছে তারও হদিশ নেওয়া হবে।”
[পুলওয়ামা কাণ্ডের জের, মহারাষ্ট্রে প্রহৃত কাশ্মীরের পড়ুয়ারা]
সূত্রের খবর, দেওবন্দে তল্লাশি চালিয়ে ১১ জন কাশ্মীরিকে আটক করে এটিএস-এর আধিকারিকরা। জেরার পর তারমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছে পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার খবর আগে থেকেই ছিল বলে জেরায় জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তাদের থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইলে জইশ-ই-মহম্মদ-সহ সমস্ত জঙ্গি গোষ্ঠীর ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া ছিল সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের বিভিন্ন হদিশ। এদিকে গতকাল উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার সোপরের ওয়ারপোরা এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে খতম হয় এক জঙ্গি। ওই এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপর ১৯ ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই চলার পর নিকেশ করেন ওই জঙ্গিকে।
এক নিরাপত্তা আধিকারিক জানান, তল্লাশি চালানোর সময় হঠাৎ নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন জঙ্গিরা। পালটা গুলি চালাতে শুরু করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এর জেরে খতম হয় ওই জঙ্গি। এর আগে গত সোমবার পুলওয়ামাতে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হন তিন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি। তার মধ্যে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড কামরান ছাড়াও ছিল রশিদ গাজি নামে এক জঙ্গি। তবে এই গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন মেজর-সহ পাঁচজন নিরাপত্তারক্ষীও।